
ফেনীতে খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমাকে (৪২) তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ফুলগাজীর জিএমহাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে সৌদি প্রবাসী ফারুকের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনরা ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে ক্ষেতের মাঝখান থেকে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরনে অবস্থার অবনতি হলে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, রাত ২টার দিকে ফাতেমা লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ছিলো এসময় নাকে পোড়া গন্ধ পেয়ে তার মেয়েদের ডেকে নিয়ে ঘরের বাইরে গেলে দেখতে পায় খড়ের গাদায় আগুন জ্বলছে। তাদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে আগুন নেভাতে। এর ফাঁকে বাইরে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা সকলের অগোচরে ফাতেমাকে তুলে নিয়ে যায়। স্বজনরা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে, তাকে না পেলে সরকারের জরুরী সেবা ট্রিপল নাইনে কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘন্টাখানেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ধানক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ পাশের বাড়ি খোকন মজুমদারের সাথে জায়গা জমির বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
অপরদিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রায়হান উদ্দিন চৌধুরী জানান, ফুলগাজী থেকে ফাতেমা নামে একজন রোগীকে মুমুর্ষ অবস্থায় আনা হয়েছে। তার মাথায়, হাতে, পায়ে ও গায়ে বেশ কিছু স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য; জায়গা-জমির বিরোধের জেরে গত ২৯ মার্চ প্রবাসী ফারুক আহম্মেদ এর বাড়ীতে রাতে হামলার ঘটনায় আমিনুর রহমান মজুমদার প্রকাশ খোকন এর বিরুদ্ধে ফুলগাজী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর স্ত্রী।