বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে নিয়োগকৃত ৩৫ জন কর্মকর্তা ও শিল্পীদের নিয়ে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৮ মার্চ ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ চলে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষক হিসেবে এতে অংশ নেন।
প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন, প্রবিধানমালা, সচিবালয় নির্দেশনা, নথি ব্যবস্থাপনা, ই-গর্ভানেন্স, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বাজেট প্রস্তুতি, দুদক আইন ও প্রতিরোধ, প্রজেক্ট এপ্রাইজাল এন্ড ফিজিবিলিটি, ডি-নথি, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, ডিপিপি, সিটিজেন চার্টার, অভিযোগ, প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, অডিট, জাতীয় সংস্কৃতি নীতিমালা, আর্থিক বিধি বিধান, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, সংবিধান, আইন, বিধি, মন্ত্রণালয়/বিভাগ/স্বায়ত্বশাসিত দপ্তর ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কার্যক্রম, স্মার্ট বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, এসিআর, আয়করসহ অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা এবং লোক সংস্কৃতির বিভিন্ন দিকসহ দাপ্তরিক ও সংস্কৃতির নানা বিষয়ের উপর এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে অনুষ্ঠিত হয়েছে মুল্যায়ন পরীক্ষা ও বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা।
এতে ১০ জন জেলা কালচারাল অফিসার, জনসংযোগ কর্মকর্তা, ৩ জন ইন্সট্রাক্টর, ৪ কন্ঠশিল্পী, ৫ নৃত্য শিল্পী ও ৭ যন্ত্রশিল্পী, ৩ জন সহকারী পরিচালক, সেট ডিজাইনার ও লাইট ডিজাইনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাডেমির কর্মকর্তা ও শিল্পীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রায় ২০ দিনের এ প্রশিক্ষণ শেষে সনদ প্রদান করেছেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এসময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
সনদ প্রদান শেষে বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক বলেন “প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বাড়লে সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানের কাজ ও সেবা প্রদানের মান বৃদ্ধি পাবে ফলে এর সুফল পাবে সবাই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জানা অব্যাহত রাখতে হবে। এই রুচি বিভক্ত সমাজে, শৈল্পিক সমস্ত কিছু প্রতিষ্ঠা করা আমাদের কাজ”।
তিনি আরো বলেন, “আমরা গণজাগরণের মাধ্যমে শিল্প সমাজ তৈরী করতে চাই, সংস্কৃতির যে বিষয়গুলো লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা আমাদের কাজ। এছাড়া একাডেমির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে যেভাবে কাজ করছি তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে কাজ করতে হবে”।
প্রশিক্ষণের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ এবং সমন্বয় করেছেন সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর প্রদ্যুৱ কুমার ও গবেষণা বিভাগের উপপরিচালক আফজাল হোসেন।