পিরিয়ডের সময় নারীরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। নিয়মিত পিরিয়ড প্রতি মাসে দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী থাকে। বেশিরভাগ নারী প্রতি মাসের ২৮ তারিখের সাত দিন আগে অথবা সাত দিন পরে পিরিয়ডের মুখোমুখি হয় নারীরা।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
যদিও এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে কিছু অভ্যাস অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং শরীরের হোমিওস্টেসিস বন্ধ করে দিতে পারে। পিরিয়ডের সময় স্বস্তি পেতে নারীদের কিছু ভুল এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকেই না জেনে এই সময় নানা ধরনের ভুল করে থাকেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ডের সময় কোন ভুলগুলো করা যাবে না-
ঘন ঘন পেইনকিলার খাওয়া
পিরিয়ডের সময় ক্র্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পেইনকিলারের ওপর খুব বেশি নির্ভর করা স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আইবুপ্রোফেনের মতো ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (NSAIDs) এর অতিরিক্ত ব্যবহার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা এবং অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে। শুধুমাত্র ব্যথানাশক ওষুধের উপর নির্ভর না করে পিরিয়ডের অস্বস্তি কমাতে হিট থেরাপি, মৃদু ব্যায়াম বা ভেষজ প্রতিকারের মতো বিকল্প পদ্ধতিগুলো বেছে নিন।
অতিরিক্ত চিনি এবং ক্যাফেইন খাওয়া
পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত চিনি এবং ক্যাফেইন খেলে তা পেটফাঁপা, বিরক্তি এবং হরমোনের ওঠানামা বাড়াতে পারে। যদিও পিরিয়ডের সময় এই খাবারগুলো খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়তে পারে, তবে সংযম করাটাই মুখ্য। স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনোরকম আপস না করে তৃষ্ণা মেটাতে হবে। সেজন্য ভেষজ চা, ডার্ক চকোলেট এবং ফলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
ওয়াক্সিং
পিরিয়ডের সময় ওয়াক্সিং সংবেদনশীলতা এবং ব্যথার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এসময় হরমোনের ওঠানামা ত্বককে আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে, ওয়াক্সিং সেশনের সময় অস্বস্তি বাড়ায়। অস্বস্তি কমাতে এবং আরও ভালো ফল পেতে পিরিয়ডের আগে বা পরে ওয়াক্সিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পানি কম পান করা
শরীরকে সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য পিরিয়ডের সময় হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়ার ভয়ে বা ভুল ধারণার কারণে অনেক নারীই পিরিয়ডের সময় কম পানি পান করে থাকেন। পর্যাপ্ত হাইড্রেশন সাধারণত পিরিয়ডের সময় পেট ফাঁপা, ক্র্যাম্প এবং মাথাব্যথা উপশম করে। সারাদিন হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় রাখতে পানি-সমৃদ্ধ খাবার খান এবং পানীয় পান করুন।
দেরি করে ঘুমানো
অনিয়মিত ঘুমের কারণে পিরিয়ডের সময় সমস্যা বাড়তে পারে এবং হরমোনের ভারসাম্য ব্যহত করতে পারে। পিরিয়ডের সময় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ক্লান্তি, মেজাজের পরিবর্তন এবং ক্র্যাম্পকে তীব্র করতে পারে। একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের সময়সূচী মেনে চলুন এবং এসময় সামগ্রিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। আরামদায়ক বিছানা এবং শান্ত কক্ষ নির্বাচন করুন। এতে ঘুম ভালো হবে।
এমএলএইচ