বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাংকের ওই শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন ও নিরাপত্তারক্ষীকে অপহরণের পাশাপাশি প্রায় দুই কোটি টাকা লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। জড়িতদের ধরতে ইতোমধ্যে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রুমা উপজেলা মসজিদ ঘেরাও করে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন ছিনতাই, আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট এবং সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে লুটপাটের ঘটনা খতিয়ে দেখছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে কত টাকা লুট হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য এখনো জানা যায়নি। এছাড়া অপহৃত ব্যাংকের ম্যানেজারের এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালেই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো.মাহফুজুর রহমান, জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনসহ পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে রয়েছে সিআইডি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে কেএনএফের ৭০-৮০ জন সশস্ত্র সদস্য রুমা উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘেরাও করে। তারা সোনালী ব্যাংকে গিয়ে পাহারারত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং মারধর করতে থাকে। ব্যাংকে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে অস্ত্র লুট করে তারা।
এদিকে, বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, স্থানীয়দের ধারণা এ ঘটনা নব্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে।