আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, যানজট নিরসনে রেলস্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে এবং মহাসড়কে নির্দিষ্ট স্থানে যানজট প্রবণ এলাকায় র্যাকার থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়াসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় শহর ও বন্দরগুলোতে পুলিশের টহল থাকবে। রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন নৌপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা এবং লঞ্চ, বাস টার্মিনালে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় থাকবে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেওয়ার বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সম্মত হয়েছে। ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হবে। সাধারণ জনগণ যেন ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য মার্কেট ও শপিংমলে নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করা হবে। র্যাবের নিরাপত্তা টহল বাড়ানো হবে। মার্কেটগুলোতে রাত্রিকালীন নিরাপত্তা থাকবে। ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা দিতে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, যানজট নিরসনে রেলস্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে মনিটর করবেন। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ, র্যাব, জেলা পুলিশ সমন্বয় করে কাজ করবেন। যানজট নিরসনে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত স্পটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে যানজট পরিস্থিতি মনিটর করবেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন সড়কে স্থায়ী ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কে নির্দিষ্ট স্থানে যানজট প্রবণ এলাকায় র্যাকার থাকবে। ড্রোন ব্যবহার করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ঈদুল ফিতরের ছুটির সময় বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক, নৌপথে আকস্মিক দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, রেসকিউ বোট, ডুবুরিসহ ফায়ার সার্ভিসের সকল সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকবেন। প্রয়োজনে কোস্ট গার্ড সঙ্গে থাকবে। শিল্প এলাকায় ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড প্রস্তুত থাকবে। সীমান্ত এলাকায় কোস্ট গার্ড ও বিজিবি সতর্ক দৃষ্টি রাখবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ সহ সবকিছু পুলিশ যেকোনো স্থান থেকে যোগাযোগ করবে। ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা রোধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সক্রিয় থাকবে।