রোববার বিশাখাপত্তমে শেষ বলটা সজোরে হাঁকালেন ধোনি, আঁচড়ে গিয়ে পড়লো গ্যালারিতে। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল তাতে বদলাল না। কারণ, শেষ বলের আগেই চেন্নাইয়ের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
চলমান আসরের আগের দুই ম্যাচে উদ্বোধনী দুই ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র আর রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দারুণ শুরু আর টপ অর্ডারের তাতে ছন্দ মেলানো ব্যাটিংয়ের পর মিডল অর্ডারকে খুব একটা পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। প্রায় দুইশো ছুঁই ছুঁই টার্গেট তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের। দুই ওপেনার অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১) এবং রাচিন রবীন্দ্রের (২) উইকেট তুলে নেন খলিল আহমেদ। সেই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ আজিঙ্কা রাহানে। ৩০ বলে ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু শিবাম দুবে এবং ড্যারিল মিচেলেরা তাকে সাহায্য করতে পারলেন না।
টানা দুুই ম্যাচ জয়ের পর চেন্নাইকে ২০ রানের পরাজয় নিয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। ১৬ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। চলতি আসরে প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে নেমে তাণ্ডব চালিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না এই মাস্টারমাইন্ড।
শুরুতে ব্যাট করে দিল্লির ব্যাটাররা চেন্নাইকে ১৯২ রানের টার্গেট দিয়েছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই থেমেছে ১৭১ রানে। দিনটা মুস্তাফিজুর রহমানেরও খুব একটা ভালো যায়নি। ৪ ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ উইকেট। চেন্নাইর হয়ে প্রথম ম্যাচে কিপ্টে বোলিংয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছিলেন ফিজ। পরের ম্যাচেও ছিলো তার দুই শিকার।
এর আগে ফ্ল্যাট উইকেটে শুরুতে বেশ সংগ্রামই করতে হয়েছিল চেন্নাইয়ের বোলারদের। মুস্তাফিজদের বোলিং আক্রমণকে রীতিমত নাস্তানাবুদ করে রেখেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ। তাদের বিধ্বংসী ইনিংস থেকে বাদ যাননি দীপক চাহার, মুস্তাফিজুর রহমানদের কেউই।