সারা দেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এখন প্রথম লক্ষ্য হবে নিজেদের সংগঠিত করা, এরপর আবারও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বিদ্রোহ করতে হবে, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সারা দেশে এমন একটা পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে মানুষ সব সময় একটা ভয়ে থাকে, ত্রাসে থাকে। ভয় ও ভয় প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। কখন, কাকে, কীভাবে ধরে নিয়ে যায়, কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ সময় তিনি আরও বলেন, একটা কথা কবে বলেছে, সেটার জন্য ১০ বছর পরেও মামলা হয়। মোবাইল এখন ব্যবহার করেন সবাই, ফেসবুকে মনের কথা লিখলে; যদি তাদের বিরুদ্ধে দেয়, সে যেখানে থাকুক, তাকে তুলে নিয়ে আসে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ছাত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। কারও পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয়েছে, কারও পা মুচড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে, কারও হাত ভেঙে দিয়েছে এবং অবিশ্বাস্যভাবে সত্য যে, তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের সেইভাবেই জেলে ফেলে দিয়ে গেছে, সেখানেও তাদের কোনো চিকিৎসা হয়নি।
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। সব সময় মনে রাখতে হবে যে, এ আন্দোলন গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভোটের আন্দোলন, নিজের খাওয়া-পরার আন্দোলন, এটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন এবং সেই আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো।