অজ্ঞাতনামা তরুনীর হত্যাকান্ড রহস্য উন্মোচন, আটক ২

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এক অজ্ঞাতমা মেয়ের মরাদেহ উদ্ধার করেছে জেলার গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। মৃতদেহটি উপজেলার গ্রোগাম ইউনিয়নের মুরসালিন পিয়াসের নির্মাণাধীন ভবনের বাথরুমের ভিতরে পাওয়া যায়। ঘটনার সাথে জড়িত ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো শ্রী ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২) এবং আদিল আহমেদ পলক (১৯)।  

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টায় গোদাগাড়ী থানাধীন গোগ্রাম ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, একটি সংবাদের সূত্রমতে জেলা পুলিশ সুপার সাফুর রহমান এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার (গাদাগাড়ী সার্কেল) সোহেল রানা, অফিসার ইনচার্জ গোদাগাড়ী মডেল থানা এবং আইসি প্রেমতলীসহ ঘটনাস্থালে উপস্থিাত হয়ে অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেন। ওই সময় ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুকালে তার শরীরের পেট ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনা সংক্রান্তে লাশের আশপাশে আলামত খোঁজার চেষ্টাকালে ভিকটিমের হাতে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ভিকটিম এর পরিচয় পাওয়া যায়।

মৃত ওই মেয়ের নাম সন্ধ্যা রানী (২০), সে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানাধীন শশিা বাঁপীর গ্রামের শ্রী হরিলাল এর মেয়ে। নিহত মেয়ে রাজশাহী মহানগরের কর্ণহার থানায় তার সৎ ভাই শ্রী ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবুে গাইবান্ধা এর বাসায় থাকতো। তাদের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৎ ভাই ও ভাবীর সাথে ভিকটিম এর ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিলো। যার ফলশ্রুতিতে ভিকটিম এর সৎ ভাই শ্রী ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২) সন্ধাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনার বাস্তরূপ দেয় ২৬মার্চ দিবাগত রাত্রি ৯টার পরে কোন এক সময়। প্রথমে ভিকটিম এর সৎ ভাই ও তার বন্ধু আদিল আহমেদ পলক (১৯) এর সহযোগীতায় ভিকটিমকে অচেতনকরে ঘটনাস্থালে নিয়ে আসে এবং নির্মাণাধীন ভবনের দুইতলায় নিয়ে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

পুলিশ জানায়, উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড ভিকটিমের সৎভাই আসামী শ্রী ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২), এবং আদিল আহমেদ পলক (১৯) কে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুই নম্বর আসামী আদিল আহমেদ পলক এর দেখানো মতে আলামত হিসেবে উক্ত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আসামীদ্বয় এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত আছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রফিকুল আলম।

শেয়ার করুন:

Recommended For You