প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির চারণভূমি চট্টগ্রাম। নানা কারণে এই অঞ্চলের গুরুত্ব বাংলাদেশে অপরিসীম, প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এখানকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতারও। চট্টগ্রামে ক্রমবর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বদা রাজনৈতিক সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা অনুশীলন করার ক্ষেত্রে আবারও একমত হয়েছেন দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। রাজনীতির মাঠে পরস্পর দুইমুখী হলেও চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের কল্যাণে তাঁরা এক ও অভিন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের সম্প্রতির কথা বলেছেন, হয়েছেন একমত।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
চট্টগ্রামে ক্রমবর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বদা রাজনৈতিক সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা অনুশীলন করার মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে দলগুলোর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে মাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) চট্টগ্রাম আয়োজিত পরিকল্পনায় সভায় উপস্থিত হয়ে এই সম্প্রতি ও ঐক্যের ডাক দেন তারা। বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরের একটি রেস্টুরেন্টর কনফারেন্স হলে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জাতীয় পরিষদ সদস্য নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ এমরান, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার রণী, মহিলা পার্টির সভাপতি সুলতানা রহমান, সহ-সভাপতি তাজলিনা মনি, দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামেলা খানম রুপা।
আরও পড়ুন হাসপাতালে নয়, বাড়িতেই থাকবেন খালেদা জিয়া
এতে সভাপতিত্ব করেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সনাতন চক্রবর্তী বিজয় এবং সঞ্চালনা করেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
সভার শুরুতে বিগত সভার সিদ্ধান্তগুলো উত্থাপন করা হয়। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সার্বিক কর্মকান্ড উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার সদরুল আমিন। মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের কার্যক্রম তুলে ধরেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমানের সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম (এমএএফ) চট্টগ্রামের সদস্যরা অংশগ্রহন করেন। কর্মপরিকল্পনা সভার ২য় পর্বে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।
সার্বিক সহযোগিতা করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রামের ইলেকটোরাল প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট তামান্না আহমেদ বহ্নি ও অপারেশন অ্যাসিসট্যান্ট আবুল হাসান চৌধুরী রণি। এই আয়োজনে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃ্ন্দ ছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থানে থাকা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্যবৃন্দ, বিএনসিসি, লিও, গার্লস গাইড, যুব রেডক্রিসেন্ট,স্কাউট, পূর্বা, পাথ টিউলিপ, ব্লাড ডোনার্স ফোরাম, ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।
উল্লেখ্য, মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম-এমএএফ একটি বহুদলীয় স্বেচ্ছাসেবী রাজনৈতিক ফোরাম যা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তরুণ নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত। ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল বাস্তবায়িত ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় দলগুলোর পলিটিক্যাল ফেলো ও মাস্টার ট্রেইনারদের সমন্বয়ে এমএএফ চট্টগ্রাম ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে।