কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সীমান্তে মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহত ৯ জনের পরিবার ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও পায়নি। নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য সরকার ২৫ হাজার টাকা করে দেয় বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। আর এই অনুদানের টাকা মরদেহ হস্তান্তরের পরপরই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, নিহতদের তালিকা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সীমানায় ঘটেছে। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কিশোরগঞ্জ নাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রশাসন অনুদান প্রদান করবে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। দুই জেলা মিলিতভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অচিরেই নিহতদের পরিবারগণ এ ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ‘সুন্দরবন’ নামে একটি ভ্রমণ তরী মেঘনার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাছে ডুবে যায়। এ ঘটনায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত সকল নিহতের মরদেহ উদ্ধার সম্পন্ন হয়েছে। এরা হলেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের সোহেল রানা (৩০), তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২৫), মেয়ে- মাহমুদা সুলতানা ইভা (৭), ছেলে রাইসুল (৫), ভৈরবের কমলপুরের স্বপন মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা আক্তার (২৫), আমলাপাড়ার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), টুটন দের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মেঘলা দে আরাধ্যা (১১), ঝুটন দের ভগ্নিপতি কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী এলাকার বেলন দে (৫০) এবং নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দাড়িয়াকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে এইচএসসি পাস করা আনিকা আক্তার (১৭)।