
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিতিঙ্গা চা বাগানের সম্ররা মুন্ডা নামের উপজাতি এক জেলের পেট থেকে ২৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য (কেঁচো) কুঁচিয়া বের করা হয়েছে। মাছ ধরতে গিয়ে পায়ুপথ দিয়ে এ মাছ প্রবেশ করে পেটে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, মুন্ডা স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ কোমর সমান কাঁদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি (কেঁচো) কুঁচিয়া মাছ কাঁদায় পড়ে যায়। তখন তিনি অনুভব করেন তার পায়ুপথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে তখন তেমন গুরুত্ব দেননি। পরে সম্ররা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়। পেটের ব্যথা নিবারণে গত রোববার (২৪ মার্চ) কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে মাছটি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে আরও অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর। যা এ যাবৎকালের স্বরণীয় ঘটনা বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকরা মুন্ডার কথা শুনে এক্সরে করান। এক্সরে রিপোর্টে ধরাপরে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধ্যায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক প্রায় ২ ঘণ্টা অস্ত্রপাচার চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কেঁচো মাছ বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তাররা বিস্মিত হন। রাতে সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে কেঁচো মাছটি বের করা হয়।
ওসমানী মেডিকেলের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জীবিত ২৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য কেঁচো মাছ বের করা হয়। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এবং সংঙ্কামুক্ত অবস্থায় আছেন।