কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শরীরে কনুই লাগাকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লার মধ্যে ব্যাপক মারামারিতে ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান, বাসা ভাঙচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে শহরের কমলপুর গাছতলা ঘাট এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতোয়েন করা হয়েছে। জানা যায়, সোমবার (২৫ মার্চ) ইফতারের পরে চায়ের দোকানে বসার সময় কাউন্সিলর সোহাগ মিয়ার বাড়ির রাহাত নামে এক যুবকের কনুই লাগে আতাউল্লাহ মিয়ার বাড়ির মুরুব্বী মজিবুর মিয়ার গায়ে। এই ঘটনায় তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় মুজিবুর মিয়ার এক ভাতিজা খবর শুনে রাগান্বিত হয়ে চায়ের দোকানের গরম পানি ছুঁড়ে মারলে পানি গিয়ে পড়ে তৃতীয় পক্ষের এক ব্যক্তির গায়ে।
আরও পড়ুন কুতুবদিয়ায় ঘুর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ ছফুরা পেলেন নতুন ঘর
এ নিয়ে সোমবার থেকেই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে মঙ্গলবার তারাবির আগে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয় পক্ষ একে অপরের ওপর বৃষ্টির মতো ইট ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় অভয় পক্ষের ভাঙচুরের স্বীকার হয় অন্তত পক্ষে ৬টি দোকান ও দুটি বসতবাড়ি। অত্র এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহাগ মিয়া বলেন, ‘সোমবার চায়ের দোকানে বসার সময় মুজিবুর মিয়ার গায়ে কনুই লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডা হলে আমি বিষয়টি মিমাংসা করে দেই। কিন্তু মুজিবুর মিয়ার ভাতিজার ছুঁড়ে মারা গরম পানি তৃতীয় পক্ষের এক ব্যক্তির গায়ে লাগায় তা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।