টানা সাড়ে পাঁচ মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় আকাশ ও স্থলপথে হামলা করে চলেছে ইসরায়েল। নিরলস ও নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়। আর এই বিষয়টি নিয়ে আবারও সরব হয়েছে আমেরিকা। দেশটি বলেছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা ‘অত্যধিক বেশি’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা ‘অনেক বেশি’ বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করার একদিন পরে গ্যালান্টকে একথা জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা ইসরায়েলের
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মঙ্গলবার গ্যালান্টের সাথে বৈঠকের শুরুতে বক্তৃতাকালে অস্টিন বলেন, গাজায় পৌঁছানো মানবিক সহায়তার পরিমাণও ‘খুব কম’। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের এই প্রধান আরও বলেন, ‘গাজা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এবং দুর্ভিক্ষ এড়ানোর জন্য আমাদের অবিলম্বে সহায়তা বৃদ্ধির প্রয়োজন এবং সমুদ্রপথে অস্থায়ী মানবিক করিডোর খোলার জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড এই কাজকে সাহায্য করবে। কিন্তু মূল বিষয় হলো- স্থলপথে সাহায্য বিতরণ আরও প্রসারিত করা।’
আরও পড়ুন গাজায় নিহত আরও শতাধিক, প্রাণহানি বেড়ে ৩২৩৩৩
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল গাজায় অতীব জরুরি মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ড ‘দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির’ সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জাতিসংঘসহ অনেকেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে সফরে এসেছেন যখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত সোমবার গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এদিকে গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজায় ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা