কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঘুর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ ছফুরা বেগম পেলেন একলাব এনজিওর বাস্তবায়নে ব্রাক ও অষ্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় নতুন ঘর। নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন তিনি। ছফুরা বেগম দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দুই সন্তান নিয়ে তিনজনের সংসার। স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে অভাবের সংসারে হাল ধরেছে ১২ বছরের বড় সন্তান। অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন ছফুরা বেগম। পলিথিনের ছাউনি দিয়ে কোনমতে রাত কাটাতেন।
মঙ্গলবার (২৬ শে মার্চ) একলাব কর্তৃক বাস্তবায়িত “Cyclone Mocha Response in Cox’s Bazar, Bangladesh” প্রকল্পের আওতায় নির্মিত নতুন ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত ছফুরা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নতুন ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে ”নিউ হাউস” হস্তান্তর এর অনুষ্ঠানিকতা করে একলাব। নতুন ঘর হস্তান্তর ছাড়াও ছফুরা বেগমকে দেওয়া হয়েছে ১০ টি ফলজ গাছ এবং ২ জোড়া কবুতরসহ কবুতরের জন্য একটি সুন্দর ঘর।
অনুষ্ঠানে উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম, প্যানেল চেয়ারম্যান মনছুর রাব্বি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক নজরুল ইসলাম, ব্রাক এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফোকাল পার্সন খালেদ মোর্শেদ, জেলা সমন্বয়ক বাহার উদ্দিন, প্রকল্প ম্যানেজার মো: সিরাজউদ্দিন, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, একলাব এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান, প্রকল্প কর্মকর্তা-টেকনিক্যাল, ফাইন্যান্স ও লজিস্টিক অফিসার এবং সুজলা মহিলা সমিতির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, কুতুবদিয়া উপজেলায় উক্ত প্রকল্পের আওতায় ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫ জনকে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ৫ জনকে পুরানো ঘর মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। ৫ জনকে দেওয়া হয়েছে নতুন লাট্রিন। ৫ জনকে পুরানো লাট্রিন মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। ৫ জনকে সবজি বীজ ও ১০ জনকে ২টা করে ছাগল প্রদান করা হয়েছে।