তাইজুলের লড়াইয়ের পরও দুইশ’র আগেই শেষ টাইগাররা

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা। 

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের শুরুটাই হয়েছে ভীষণ নড়বড়ে। তাইজুল ইসলামের লড়াইয়ের পরও ১৮৮ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ইনিংস শেষে লঙ্কানদের লিড ৯২ রানের। এদিকে মাহমুদুল হাসান জয় ৯ রান এবং তাইজুল ০ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। দু’জন মিলে ২১ রান যোগ করতেই পতন ঘটে দিনের প্রথম উইকেটের। জয় নিজের রানের সঙ্গে আর ৩ রান যোগ করেই আউট হয়েছেন। ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হলো তাকে। শাহাদাৎ হোসেন দীপু এরপর সঙ্গী হন তাইজুলের। মাঝে একবার ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান তাইজুল। দীপুর হাত ধরে আসে বাউন্ডারি। তাইজুলও তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন দারুণভাবে। কিন্তু আবারও বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন কুমারা।

আরও পড়ুন আইপিএলে জয় পেলো চেন্নাই সুপার কিংস

এবার তিনি তুলে নেন দীপুর উইকেট। কিছুটা বাউন্স করা বল প্রথম স্লিপে ক্যাচ যায়। ২৬ বলে এর আগে ১৮ রান করেন দীপু। বাংলাদেশের জন্য এরপর বড় ভরসা হয়ে ছিলেন লিটন দাস। তাইজুলও টিকে ছিলেন ক্রিজে। এই দু’জনের জুটিতে আবারও আশার আলো খুঁজে পায় বাংলাদেশ। কিন্তু ফের কুমারা উইকেট তুলে নেন। এবার তিনি বোল্ড করেন লিটন দাসকে। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়া বল ভেতরে ঢুকে স্ট্যাম্পে আঘাত করে। ৭৬ বলে তাইজুলের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি ছিল লিটনের।

আরও পড়ুন মেসিকে ছাড়াই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা

লাঞ্চের ঠিক আগে লিটন আউট হন, তখন নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাইজুলের সঙ্গে তিনিই সেশনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন। লাঞ্চের সময় তাইজুলের রান ছিল ৪২, ফিরে এসে একটি বাউন্ডারি ও সিঙ্গেলস নেন তিনি। প্রায় পুরোটা সময় ধরে লড়াই করা তাইজুল শেষ অবধি হাফ সেঞ্চুরি করার আগেই আউট হয়ে যান। ৮০ বলে ৬ চারে ৪৭ রান করার পর কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৪ বলে ১১ রান করে রাজিথার বলেই আউট হয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজও। ওখান থেকে বড় লিডের পথেই ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ৩৫ বলে ৪০ রান করে সেটি হতে দেননি খালেদ ও শরিফুল। ২ ছক্কায় ২১ বলে ১৫ রান করেন শরিফুল এবং ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ২২ রান করেন খালেদ।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You