সংস্কৃতির শক্তিশালী মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম আঙ্গিক হলো পুতুলনাট্য। লোক শিক্ষার অন্যতম বাহন এটি; যুগে যুগে যা তাঁর উপস্থাপনা ও প্রয়োগ শৈলীর মাধ্যমে বিষয়বস্তু, সময় এবং পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করে মানুষের আত্নিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের সামষ্টিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণীত করতে বিষয়ভিত্তিক পুতুলনাট্য প্রদর্শনী অত্যন্ত কার্যকরী কৌশল। ২১ মার্চ বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবস ২০২৪। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আজ বিশ্বপুতুলনাট্য দিবস পালিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭. ৩০ মিনিটে স্টুডিও থিয়েটার হলে আলোচনা ও পুতুলনাট্যপ্রদর্নীর আয়োজন করা হয়। ঢাকা পাপেট থিয়েটার এর পরিবেশনায় দুষ্টু ‘রাখাল’ পুতুলনাট্যপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে পুতুলনাট্যের উপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব গোলাম সারোয়ার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের অধ্যাপক রশীদ হারুন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। পুতুলনাট্যের প্রসারে এবং সংস্কৃতির মাধ্যম হিসেবে একে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নানামুখী ভুমিকা তুলে ধরেন তিনি।
বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ‘ঝুমুর বীণা পুতুলনাচ’ এর সত্ত্বাধিকারী চম্পা বেগমকে। পুতুলনাট্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় শিশু কিশোরদের বয়োসন্ধি:কালীন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সচেতনতার বার্তা প্রদানসহ পুতুলনাট্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে নানামুখী বার্তা ছড়িয়ে দিতে ভুমিকা রেখেছে ‘ঝুমুর বীণা পুতুলনাচ’।