
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ফলের আড়ৎ রেখে পালালো মালিকরা। পরে আড়ৎতের কর্মচারীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সম্মুখিন হন। এসময় ফলের আড়ৎতে মূল্য তালিকা না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী একেএম গোলাম মোর্শেদ খান।
(২০ মার্চ) বুধবার বিকেলে শহরের দুর্জয় মোড় সংলগ্ন সিলেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযানে এসব অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে।
জানা যায়, পবিত্র মাহে রমজান মাসে সরকারে বেঁধে দেয়া মূল্যে বাজারে খেজুরসহ, বিভিন্ন ফলমূল সঠিক দামে বিক্রয় করছে কি না তার মনিটরিংয়ের জন্য যান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান। যখনই দু্র্জয় মোড় সংলগ্ন সিলেট বাস্টট্যান্ড এলাকায় গাউছিয়া ফলভান্ডারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট প্রবেশ করে ঠিক তখনই আড়তে মালিকের টেবিলের তিনটি চেয়ারই খালি পড়ে রয়েছে। যখনই জিঙ্গাসা আড়তের মালিক কোথায় ঠিক তখনই ভিতরে রুম থেকে একজন বের হয়ে আসেন। তখন তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, মালিক ও আড়তের সরকার লাঞ্চে গিয়েছেন। পরর্বতীতে এশিয়া ফল ভান্ডারে একই দৃশ্য চোখে পড়ে।
এরপর খেঁজুরে মূল্য তালিকা না থাকায় বিমমিল্লাহ ফল ভান্ডারের মালিক মামুন মিয়াকে জরিমানা ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া খুচরা ফল বিক্রেতা মোবারক, নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, অহিদুজ্জামানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার আতিকুর জামান। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ভৈরব থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান জানান, পবিত্র মাহে রমজানে ভোক্তারা যাতে সরকারের নিধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ খেঁজুর, ফলমূল কিনতে পারে সেজন্যই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তাই আজ বিকেলে বাস্টট্যান্ড এলাকার ফলের আড়ৎসহ খুচরা ফল দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় মূল্য তালিকাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।