ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের দুটি স্কুল ও একটি মাদরাসার দরিদ্র ৩৫ মেধাবী শিক্ষার্থীকে আলোকিত ফেনী-আবদুল মজিদ চৌধুরী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) আলোকিত ফেনী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রুহিতিয়া হাই স্কুল মাঠে এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
রুহিতিয়া হাই স্কুল পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আবছার ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোরর্শেদ হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সোনাপুর স্কুলের বিদ্যুৎসাহী সদস্য জসিম মাহমুদ, রুহিতিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক একে মনির আহমদ, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ফয়েজ আহম্মদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী আলমগীর রতন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল তার বক্তব্যে বলেন, “আবদুল মজিদ চৌধুরী মৃত্যুর ৬০ বছর পরও কীর্তির কারণে বেঁচে আছেন। এই মানুষটি কর্মজীবনে ভালো কাজ না করলে এখন তাকে কেউ স্মরণ করতো না। মানুষ পৃথিবীতে অল্প সময়ের জন্য আসে। পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া বাস্তব সত্য। থেকে যাবে তার কীর্তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হাজার বছর পর্যন্ত মানুষ স্মরণ করবে। মরহুম আবদুল মজিদ চৌধুরীকে ভালো কাজ করেছেন বলেই স্মরণ করা হচ্ছে। মানবকল্যাণে, এলাকার জন্য তথা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অবদান রেখে গেলে মৃত্যুর পরও মানুষ স্মরণ করবে। এখনকার দিনে এরকম মানুষের খুবই অভাব। সমাজের দায়বদ্ধতা অনেক বেশী সেটি করতে পারেনা। অনেক মানুষ শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। চাহিদার বাইরে আকাঙ্খা থাকলে সে ধরনের মানুষ কিছুই করতে পারেন না। সেই ধরনের নির্লোভ মানুষ আবদুল মজিদ চৌধুরী।”
তিনি আরো বলেন, “আলোকিত ফেনী ফাউন্ডেশন অব্যাহতভাবে অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষা অন্যতম। পরীক্ষাটি এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ভূমিকা রাখছে।” অনুষ্ঠানে রুহিতিয়া হাই স্কুলের ১৫ জন, সোনাপুর হাই স্কুলের ১০ জন ও রুহিতিয়া আদিল শাহ মাদরাসার ১০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।