চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে পুরো চট্টগ্রাম নগর জুড়ে চলছে পানির জন্য হাহাকার। বহু এলাকায় ওয়াসার লাইনে কোনো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। রোজার মধ্যে নগরীতে পানির কোনো সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছিল ওয়াসা। কিন্তু রোজার প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে পানির সংকট। তারা কথা রাখতে পারেনি। নিরাপদ পানি সরবরাহে চট্টগ্রাম ওয়াসা ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের পরিসংখ্যান নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। অপরদিকে বছরের পর বছর ধরে পতেঙ্গা এলাকার হাজার হাজার মানুষ ওয়াসার পানি থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এই রোজার দিনেও তারা পানি পাচ্ছে না। অনেকেই লবণাক্ত পানি দিয়েই ইফতার সেহেরি সারছেন। নিরাপদ পানির সংকটকে কাজে লাগিয়ে চলছে পানির বাণিজ্যিকীকরণ। ফলে চড়া মূল্যে বোতল কিংবা জারের পানি কিনে খাওয়া এখন চট্টগ্রামবাসীর নিয়তি হয়ে গেছে। তিনি পানিকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে দেখা বন্ধ করার আহবান জানান।
তিনি মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কালামিয়া বাজার ইপিক চত্বরে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাকলিয়া থানা যুবদলের সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের প্রতিটি বাসিন্দার জন্য পরিষ্কার এবং নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা ওয়াসার দায়িত্ব। তাদের কাজ হলো শিল্প এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের মাধ্যমে স্যানিটেশন এবং ভাল স্বাস্থ্যকর অবস্থা নিশ্চিত করা। চট্টগ্রাম শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। নিরাপদ ও পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা। তাই নগরজুড়ে পানির যে হাহাকার শুরু হয়েছে, তা অচিরেই বন্ধ করতে হবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, যার কারণে তাদেরকে কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না। তাই সব কিছুর দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। দুর্নীতির আর্থিক দায় জনগণের কাঁধে চাপাতেই সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। দেশবাসীকে সরকারের এই গণবিরোধী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাকলিয়া থানা যুবদলের সদস্য সচিব হাজী মো. মুছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বিএনপি নেতা মো. আলী, সাইফুল আলম নিরব, মহানগর যুবদলের সম্পাদক আলাউদ্দীন সুজন, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সি. সহ সভাপতি এম এ জলিল, বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. দুলাল মিয়া, সদস্য সচিব মো. শামীম, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার, মহিলাদল নেত্রী কোহিনুর বেগম, মনোয়ারা বেগম, যুবদল নেতা মো. ফরহাদ, মো. টিপু, মো. আলাউদ্দীন প্রমূখ।