ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের অফিসের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় অর্ধশত কর্মচারী তাঁদের বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলেন। পরে তাদের প্রতিনিধিরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উপাচার্য আসন্ন সিন্ডিকেটের পরবর্তী সিন্ডিকেটে এ বিষয়টি উত্থাপন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার অফিসের সামনের করিডরে বসে কর্মচারীরা বলেন, আমাদের গতবছর বেতন বৃদ্ধির কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। বরং বারবার বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কার্যকর করা হচ্ছে না।
এ সময় অস্থায়ী কর্মচারী বাদশা মিয়া বলেন, বর্তমানে বাজারে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায় আমাদের সংসার চালানো অসম্ভব। সারাদেশে সরকার অস্থায়ী কর্মচারীদের দৈনিক ভাতা সর্বনিম্ন ৫০০-৫৫০ টাকার নীতিমালা করেছে। সেখানে আমাদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৫০ টাকা। আমাদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসে ৫১ জন থোক ভিত্তিতে কর্মরত আছেন। তাঁদের প্রতি মাসে পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন চার হাজার দুইশত টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি মাসে ব্যায় হচ্ছে তিন লক্ষ ১০০ টাকা।
থোক ভিত্তিতে নিয়োজিতদের মাসিক টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য ২০২৩ সালের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোষাধ্যক্ষ ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও উপ-হিসাব পরিচালক সামসুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্টি একটি কমিটি গঠন করে দেন। তবে এ কমিটি প্রায় এক বছর পরেও এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অস্থায়ী কর্মচারীরাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। তাঁদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টা প্রশাসন দেখবে। ‘
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটা আর্থিক খাত আছে সেখান থেকে অস্থায়ীদের কিছু টাকা প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে তাঁদের বেতন বাড়বে কিনা এই বিষয়টা প্রশাসনের সবাইকে একসাথে বসে আলোচনা করতে হবে।’