খাবার তালিকায় চিড়া কেন রাখবেন?

যদি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা না হয় তাহলে শারীরিক দূর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যায় না। ক্লান্তি লেগেই থাকে। তাই আমাদের খাবার তালিকায় এমন কিছু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রাখা চাই যা আমাদের দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনবে, দূর করবে সকল ক্লেশ। বিশেষত রমজানে এ বিষয়টি আমাদের লক্ষ্য রাখা জরুরি। ইফতারিতে খাবার তালিকায় রাখার মতো স্বাস্থ্যসম্মত অনেক খাবারই আছে, তন্মোধ্যে চিড়া অন্যতম। চিড়া ছাড়াও দই, লাচ্ছি, দই-চিড়া ইত্যাদিও উল্লেখ্যযোগ্য বিশেষ খাবার যা খাবার তালিকায় রাখা যায়।

আসুন জেনে নিই চিড়ার উপকারিতা, বা কেন খাবার তালিকায় চিড়া রাখা দরকার?

সাধারণত ভারতীয় উপমহাদেশে চিড়া খাওয়ার প্রচলন লক্ষ করা যায়। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, অত্র অঞ্চলে ধানের চাষ করা হয়, যার ফলে ধান বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে, আর চিড়া মূলত ধান থেকে তৈরী করা হয়। ভালো স্বাদের চিড়া পেতে হলে নির্দিষ্ট জাতের ধান নির্বাচনও করতে হয়।

চিড়া শুকনো বা ভেজা অবস্থায় খাওয়া যায়। পানি, দুধ এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ খুব সহজে চিড়া শুষে নিতে পারে। শুকনো চিড়া গুড়ের পাটালি দিয়ে খাওয়ার রীতি আছে। এটা খুব সহজে হজম হয়। মিষ্টির দোকান গুলোতে দই চিড়া একটি বহুল প্রচলিত খাবার।

চিড়া খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। চিড়া নানা উপায়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে খাওয়া যায়। গরমে, নাশতায়, বিকেলের খাবারে বিভিন্ন ভাবে রান্না করে, দই এর সাথে, আমের সাথে বিভিন্ন উপায়ে চিড়া খাওয়া যায়। রুচি অনুযায়ী যে যেভাবে ইচ্ছা তা খেতে পারে।

চিড়া খাওয়ার উপকারিতা: 

(১) চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

(২) চিড়ায় পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

(৩) সিলিয়াক ডিডিজের রোগীদের জন্য চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চালের প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলিনের শোষণে কোন সমস্যা না থাকায় এই রোগীদের জন্য চিড়া গ্রহণ করা নিরাপদ।

চিড়া খাওয়ার অপকারিতা:

সবকিছুরই ইতিবাচক নেতিবাচক দুইটা দিক থাকে। তবে কিছুতে ইতিবাচক জিনিস বেশি থাকে আর কিছুতে নেতিবাচক জিনিস বেশি থাকে। চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক থাকলেও চিড়াতে বেশি শর্করা এবং উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণে সিরাম ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে যা কার্ডিওভাসকুলার ডিডিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

 

ডব্লিওজি নিউজ/এমএসআই

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You