আমের মুকুল থেকে গুটি আসছে, রাজশাহীতে লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ মেট্রিক টন

চৈত্রের প্রখর তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অমের মুকুল থেকে গুটি আসতে শুরু করেছে। রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলার গাছগুলোতে সবচেয়ে বেশি গুটি এসেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক ও কৃষি দপ্তর।

প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এই মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হবে। রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬শত ২ হেক্টর জমিতে আম চাষাবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ১মত৬৪ মেট্রিকটনন। যা গত বছর জেলায় ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমির বাগানে আম চাষ হয়েছিল। এর আগের বছর ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল দুই লক্ষ ২৫ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর— এই চার জেলায় ৯৩ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন। গত বছর এই অঞ্চলে মোট ১২ লাখ সাত হাজার ২৬৩ টন আম উৎপাদন হয়েছিল।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, বিগত বছরের চেয়ে এবার আমের মুকুল ভালো এসেছে এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলন হবে। এই উপজেলায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ বাড়ানো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আট হাজার ৩৬৮ হেক্টরে ০১ লাখ ১০ হাজার টন আম উৎপাদনের আশা করছেন। অপরদিকে চারঘাট কৃষি অফিসার আল মামুন হাসান বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো ফলন হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। এই বছর ৪ হাজা ৯শত ২হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৫৩ হাজার ৯শত ২২ মেট্রিকটন।

প্রতিটি গাছে মুকুল রয়েছে ইতোমধ্যে বেশিরভাগ গাছে মুকুলগুলোতে আমরে গুটি বড় হতে শুরু করেছে। সেগুলোর পরিচর্যা করছেন চাষিরা। পর্যায়ক্রমে ফজলি, আশ্বিনা, দুধসর ও হিমসাগরের গুটি আসবে। ইতোমধ্যে এগুলোর কিছুতে গুটি এসেছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া খুব ভালো। পোকামাকড় যেন গাছে ভিড়তে না পারে, সেজন্য ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, তাহলে এ বছরও বাম্পার ফলন হবে। পোকামাকড় দমনের জন্য এখন ওষুধ ও কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। আশা করছি, ভালো ফলন হবে বলে জানান, ডিডি মোজদার হোসেন।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You