সেচ মেশিন বন্ধ করায় কৃষকদের মানববন্ধন

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাজির চর এলাকায় চাঁদার দাবীতে কৃষকদের দুইটি সেচ মেশিন বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে ওই এলাকার সম্মিলিত বিক্ষুদ্ধ সাধারণ কৃষকরা।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে  https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
মানববন্ধনে কৃষকরা অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা এবং রাজাপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাজীর চর এলাকায় প্রায় ৮০ একর জমিতে বোরা ধান চাষ করার জন্য তারা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ সময় তাদের এ প্রকল্পের উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় ও বহিরাগত পেশাদার চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য, ভোলা ইলিশা বাসস্ট্যান্ডের দ্রুব হরী দত্তের ছেলে কৃষ্ণ দত্ত। তার ভাই, হরিদাস দত্ত, বাবু দত্ত।
পশ্চিম ইলিশার পক্ষীয়ার শামসুদ্দিন মাঝির ছেলে নুরে আলম হাজারী। নুরে আলম হাজারীর ছেলে শাহে আলম, ইব্রাহীম, পিতা- আসলাম, সাং- পূর্ব কাজির চর। কবির বেপারী সাং- পূর্ব চরকাজী, পিতা মৃত আবদুল কাদের বেপারী। মিন্টু ফরাজি, পিতা সৈয়দ আহাম্মেদ ফরাজী সাং- শ্যামপুর, রাজাপুর। বাগন আলী, পিতা ইসমাইল বেপারী সাং-শ্যামপুর, রাজাপুর। নান্নু খা পিতা- অজ্ঞাত।  সিরাজ পিতা- অজ্ঞাত। কামাল, পিতা শাজাহান মাতাব্বর সাং পূর্ব কাজীর চর। সহ ১৫/২০জনের একটি সন্ত্রাসী দল।

মানববন্ধনে কৃষকরা আরো অভিযোগ করে বলেন, আমরা ধান চাষের প্রকল্পটি হাতে নেয়ার পর পরই উল্লেখিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা আমাদের থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তখন আমারা তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে সন্ত্রাসীরা আমাদের জমি চাষের পাওর ট্রিলার বন্ধ করে দেয়। তখান আমরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন কৃষকদের কাছ থেকে টাকা তুলে সন্ত্রাসীদের ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। পরে আমরা জমি চাষ করে ধান রোপণ করে ধান ক্ষেতে পানি দেয়ার দুইটি শেচ মিশিন স্থাপণ করি। কয়েক দিনের ভিতর ধানের চাড়া কিছুটা বড় হলে, ফের সন্ত্রাসীরা আমাদের কাছ থেকে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। যা পূরণ করা ছিলো আমাদের সাধ্যের বাইরে। পরে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের দুইটি পানি নিস্কাসনের শেচ মেশিন তালা মেড়ে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে বর্তমানে আমাদের রোপণ করা ধানের চাড়াগুলো পানির অভাবে মরে যাচ্ছে। এমনকি পানির অভাবে ধানক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বিগত দিনে আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদের অনেক কৃষকদের মারধর করে ও পানি যাওয়ার কিছু কিছু ড্রেন ভেঙ্গে ফেলে।

এ ব্যপারে ওই এলাকার সচেতন মহল জানান, উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের চলমান তান্ডব মেনে নেয়ার মতো না। যদি দু’এক দিনের ভিতর এ ৮০একর জমির ধান ক্ষেতে পানির ব্যবস্থা করা না হয় তাহলে ধানের চাড়া গুলো পুরো পুরি মরে যাবে। আর এতে ভূক্তভোগী কৃষকদের ক্ষতির শেষ থাকবে না। অন্যদিকে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বোর ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ঘার্তি হবে অনেকটা। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ, ওই এলাকার ভূক্তভোগী সাধারণ কৃষক ও সচেতন মহল।

Recommended For You