রমজানকে ঘিরে পাঁচ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রায় অর্ধেক কমেছে পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে। গত বুধবার (১৩ মার্চ) যে পেঁয়াজ তিন হাজার থেকে তিন হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, সেই পেঁয়াজ সোমবার (১৮ মার্চ) এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। সুজানগর,সাঁথিয়া,সদরের হাজির হাটে পাইকারি বাজারে এমন দেখা গেছে। স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে এসেছে। আবার কৃষকরাও নতুন পেঁয়াজ বাজারে বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছেন। তাতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এই দরপতন ঘটেছে।
আরও পড়ুন নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ না করাটাই যৌক্তিক : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
জানা যায়, সুজানগর উপজেলায় প্রতি রোববার ও বুধবার পাইকারি পেঁয়াজের হাট বসে। গত বুধবার (১৩ মার্চ) এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। রোববার এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। দাম কমে যাওয়ায় বহু কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি না করে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন আম রপ্তানি বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তা কামনা খাদ্যমন্ত্রীর
সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা হাটেও মিলেছে একই চিত্র। রোববার এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে বিক্রির জন্য আনা পেঁয়াজ নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। দাম কমে যাওয়ায় দুই উপজেলার পেঁয়াজ চাষিদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। দাম আরও কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, হঠাৎ করে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে বর্তমানে যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, তাতে কৃষকের লোকসান হবে না।
আরও পড়ুন খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার
চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন। এ পেঁয়াজ ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। অন্যদিকে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৫৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বাজারে আসছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।