দেশের বৃহত্তম কাপড়ের হাটে অগ্নিকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি ১০ কোটি

বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারি কাপড়ের হাট প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার খ্যাত শেখেরচর-বাবুরহাটে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৩২টি দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১ টা ১০ মিনিটে জিয়া উদ্দিন মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে গত বছরের ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১১ টার দিকে হাটের বণিক সমিতির পুরাতন অফিস সংলগ্ন গলিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৭০টি দোকানের প্রায় শত কোটি টাকার কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।
হাটের  ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান,  ছোট বড় প্রায় পাঁচ হাজার দোকান রয়েছে এই হাটে। ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রত্যেক দোকানেই প্রচুর কাপড় তোলেছেন ব্যবসায়ীরা। শবিবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে হঠাৎ জিয়া মার্কেটে গলিতে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই মার্কেটের ৩২টি দোকানে। ভয়াবহ আগুনের ধোঁয়া ও লেলিহান শিখায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দোকান মালিকরা লোকজন নিয়ে মালামাল সরানোর চেষ্টা ও আগুন নেভানোর কাজে নামেন। অনেক ব্যবসায়ী আগুনের ভয়াবহতা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পরে খবর পেয়ে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের ২ টি, নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের ২ টি, পলাশ ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের একটি ইউনিটসহ মোট ৭টি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনে। ৩২ টি দোকানের কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। এসব দোকান থেকে কোন কাপড় সরানো যায়নি বলেও জানান তারা।
জিয়া মার্কেটের মালিক মো: কামরুজ্জামান বলেন, এই মার্কেট মোট ৩২টি দোকানে জাজিম, তোষক, কাভার, পর্দাসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের বেচাকেনা হতো। প্রায় প্রতিটি দোকানে গড়ে আনুমানিক ২০ থেকে ৪০ লাখ টাকার কাপড় ছিল। আগুনে সবই পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারী পরিচালক শিমুল মো. রফি বলেন, খবর পেয়ে মোট ৭ ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে প্রায় ৩২ টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসাকিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তাৎক্ষনিক  ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারন করা যায়নি।
শেয়ার করুন:

Recommended For You