কক্সবাজারের মহেশখালীতে পাহাড়ী এলাকায় অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব-১৫। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় র্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শনিবার ভোরে মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব পুইরছড়া খঞ্জনীর বাপের ঘোনা পাহাড়ে র্যাব অভিযানে যায়। এসময় সেখান থেকে অস্ত্রসহ তিনজন অস্ত্রব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন, মহেশখালী কালামার ছড়ার ফরিদুল আলম (৫৪), তার দুই পুত্র জিসাদ প্রকাশ সোনা মিয়া (২২) ও বাহিম (২০)।
র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারখানা থেকে দুটি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান এবং অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদির মধ্যে লোহার তৈরী ড্রিল মেশিন, হাতুড়ী, করাত, চারটি লোহার পাইপ, দুটি লোহার ব্যারেল, হেক্সো ব্লেড, দুটি লোহা কাটার ব্লেড, ষাটটি ওয়াশার, দুটি পাঞ্চিং রড, দুটি বড় নাট, রেঞ্চ, স্টীল সীড, তিনটি লোহার অংশ ও লোহার ব্রাশসহ অস্ত্র তৈরীর আনুষাঙ্গিক ছোট-বড় ৫০টি অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব বলছে, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র তৈরী করে আসছিল। তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব অস্ত্র কক্সবাজার শহর, রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অপরাধীদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে থাকে।
র্যাব বলছে আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের জানায়, অস্ত্র তৈরীর কারখানাটির অন্যতম কারিগর বাদশা মিয়া। তারা পাহাড়ে অবস্থান করে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে অস্ত্র তৈরী ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। সেইসাথে ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং মাদক’সহ নানাবিধ অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ পলাতক ও আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে র্যাব।