নরসিংদীতে শুরু হলো রমজানের ‘সাশ্রয়ী বাজার’

‘রমজানে সাশ্রয়ী বাজার, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে  জেলা প্রশাসন, নরসিংদীর উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে শিক্ষা চত্বর সংলগ্ন ব‌ঙ্গবন্ধু পৌর পার্কে সাশ্রয়ী বাজারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম। 
রমজান মাসজুড়ে নরসিংদী বাসীর মাঝে  সাশ্রয়ী মুল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বিক্রির লক্ষ্যে প্রতি সপ্তাহের শনিবার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার শিক্ষা চত্বর সংলগ্ন ব‌ঙ্গবন্ধু পৌর পার্কে সকাল ৯.০০ টা থেকে এ বাজার বসবে। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাছ, মাংস, শাক-সবজি সহ আরও অনেকে নিত্যপন্য। এই বাজারে প্রচলিত বাজার দরের থেকে কম মূল্যে বিভিন্ন নিত্যপন্য বিক্রি করা হবে। যা মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত সহ নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য রমজানে সুফল বয়ে আনবে।
জেলা প্রশাসন জানায়, বাজারে প্রচলিত দামের চেয়ে সাশ্রয়ী দামে এই বাজারে গরুর মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, ডিমসহ টাটকা শাকসবজি ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হবে। এ বাজারে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, নরসিংদীর উদ্যোগে স্থাপিত সাশ্রয়ী মূল্যের রোজার বাজার থেকে পবিত্র রমজান মাসের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্যদ্রব্য ক্রয়ের জন্য নরসিংদীবাসীদের আন্তরিক আহ্বান জানানো হচ্ছে জেলা প্রশাসন, নরসিংদীর পক্ষ থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  বিভিন্ন অঞ্চল হতে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষজনের সমাগম ঘটে সাশ্রয়ী বাজারে। মাছ, মাংস, শাক-সবজি সহ বিভিন্ন পন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পেয়ে সবাই উৎফুল্ল। দলে দলে মধ্যবিত্ত,  নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-আয়ের মানুষেরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করছে। মানুষজন কম দামে পন্য কিনতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। দ্রব্য মূল্যের এই উর্ধগতির সময়ে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষজন কম মূল্যে এই রোজার মাসে প্রয়োজনীয় পন্য কিনতে পেরে কিছুটা হলেও হাফ ছেড়ে বেচেছে।
সাশ্রয়ী বাজারে পন্য কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, নরসিংদীর প্রতিটি বাজারে পন্য দ্রব্যের যেই দাম আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষদের পক্ষে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস ই কেনা সম্ভব হয়না। এই সাশ্রয়ী বাজার থেকে অল্প হলেও কম দামে কিছু প্রয়োজনীয় নিত্যপন্য কিনতে পেরেছি। কম দামে পন্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে এ বাজারটি অসামান্য ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কঠোর ভাবে তদারকি চলছে  নিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্যের সুবিধা নিয়ে কেউ যেন অধিক পরিমাণে পণ্য ক্রয় করতে না পারে এজন্য প্রতিটি সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে উচ্চসীমা (যেমন, গরুর মাংস ২ কেজির বেশি কেউ ক্রয় করতে পারবেন না) নির্ধারণ করা হয়েছে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You