বরগুনা প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরে নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলায় সাত আসামীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহষ্পতিবার (১৪ মার্চ) বরগুনা মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার আটজন আসামী হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত সাতজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর অশোক কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান বলেন, তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার আসামীদের মধ্যে মোট আটজন বরগুনা মূখ্য বিচারিক হাকিম হারুন অর রশীদের আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। এদের মধ্যে এজাহারের ১৩ নং আসামী মোঃ জাফর হোসেন হাওলাদারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার এজাহারের ১নং আসামী আসম হাফিজ আল আসাদ, ২নং আসামী আরিফুল ইসলাম মুরাদ, ৩নং আসামী কাশেম হাওলাদার, ৪নং আসামী সাইফুল ইসলাম মিরাজ, ৮নং আসামী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান, ৯নং আসামী জাহিদুল ইসলাম মেহেদি ও ১০ নং আসামী সোহাগ হাওলাদারের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বরগুনা প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরের পর ২ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ। তিনি দৈনিক ভোরের ডাক নামের একটি পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি ও নলটোনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় ৪ মার্চ তালুকদার মাসউদের স্ত্রী সাজেদা বাদি হয়ে বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২জনকে আসামী করে মামলা রুজু করেন। আসামীদের মধ্যে সোহেল হাফিজ এনটিভি, সাইফুল ইসলাম মিরাজ সময়, ফেরদৌস খান ইমন যমুনা, মালেক মিঠু ডিবিসি নিউজ, জাহিদুল ইসলাম মেহেদি বাংলা নিউজ, ওয়ালি উল্লাহ ইমরান দৈনিক আজকের দর্পন ও কাশেম হাওলাদার অনলাইন পোর্টল সংবাদ প্রকাশের বরগুনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এ বিষয়ে আইনজীবী আবদুর রহমান বলেন, নথি হাতে পাওয়ার পর আমরা আদালতে জামিন প্রার্থনা করব।
মামলার বাদি ও নিহতের স্ত্রী সাজেদা বলেন, মামলার ১০দিনেও কোনো আসামী গ্রেফার করেনি পুলিশ। এমনকি তাদের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ ও মিডিয়া থেকেও বহিষ্কার করা হয়নি। আমি ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত। এমনিতেই আসামীদের সহযোগীরা মামলাটি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আমাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।