পোলিও আক্রান্ত হয়ে ফুসফুস পর্যন্ত বিকল হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসের বাসিন্দা পল আলেকজান্ডারের। এরপর চিকিৎসকেরা বিশেষভাবে তৈরি একটি লোহার সিলিন্ডারে ঢুকিয়ে কৃত্রিমভাবে তাঁর শ্বাস–প্রশ্বাস সচল রেখেছিলেন। পুরো শরীর ছিল ওই সিলিন্ডারে, শুধু মাথা ছিল বাইরে। এভাবে ৭০ বছর পার করে অবশেষে মারা গেলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তিনি পরিচিত ছিলেন ‘দ্য ম্যান ইন দ্য আয়রন লাং’ নামে। তার এই নামকরণ করা হয়েছিলো শরীরে বিশেষ কায়দায় জুড়ে দেয়া লোহার ফুসফুসের কারণে। সেই ধাতব আবৃত জীবন ছেড়ে ৭৮ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন পল আলেক্সান্ডার।
১৯৫২ সালে তার বয়স যখন ছয়, তখন পোলিও রোগে আক্রান্ত হন পল। আর তাতেই গলার নীচ থেকে শরীরের বাকি অংশ প্যারালাইজড বা অবশ হয়ে যায় তার। এই কারণে স্বতন্ত্রভাবে শ্বাস নেওয়ার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন পল। সমাধান খুঁজতে পলের জন্য একটি মেটাল সিলিন্ডার বানান চিকিৎসকরা। আর সেই সিলিন্ডারেই কেটে গেছে পলের বাকি জীবন। তিনি একজন আইনবিষয়ক ডিগ্রিধারী, করতেন আইনের চর্চাও। তিনি একটি স্মৃতিকথাও বের করেছিলেন।
তহবিল সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সংস্থা জানিয়েছেন, ‘পল কলেজে গিয়েছেন, তিনি আইনজীবী হয়েছেন এবং বই লিখেছেন।’ ‘পল ছিলেন অবিশ্বাস্য রোল মডেল।’ তার ভাই ফিলিপ আলেক্সান্ডার বলেছেন, তিনি ছিলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো মানুষ। তার হাসি ছিলো চওড়া। আর সেই হাসি সহজেই মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতো। ফিলিপ বলেছেন, ‘তিনি আমার কাছে স্বাভাবিক ভাইয়ের মতোই ছিলেন। আমরা লড়াই করতাম, খেলতাম। আমরা একসাথে কনসার্টে যেতাম। সে ছিল স্বাভাবিক ভাইয়ের মতো।’