দলের দুই তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ন্যাশভিলকে উড়িয়ে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামিও।
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছে মায়ামি। প্রথম লেগে দুই দলের লড়াইটি ২-২ ড্র হয়েছিল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ অগ্রগামিতায় মহাদেশীয় ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ আসরের শেষ আট নিশ্চিত করে ফ্লোরিডার মেসির নেতৃত্বাধীন দলটি। ম্যাচের ৮ মিনিটে মায়ামির প্রথম গোলটি আসে সুয়ারেজের কাছ থেকে। ন্যাশভিলের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে বক্সের মধ্যে সুয়ারেজকে দারুণ এক পাস দেন মেসি। এরপর সুয়ারেজ গোলের কাজটা সারেন। মেসি গোল করেন ম্যাচের ২৩ মিনিটে। ডি-বক্সের মধ্যে দিয়েগো গোমেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন মেসি। এ নিয়ে এই মৌসুমে টানা ৪ ম্যাচে গোল পেলেন মেসি। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে মায়ামির হয়ে ৫ ম্যাচে মেসির গোল ৫টি, করিয়েছেন আরও ৪টি।
প্রথম লেগে ম্যাচের ৪৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ন্যাশভিল। এবার দেখা গেছে এর উল্টোটা। মাত্র ২৩ মিনিটেই মায়ামি ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। তবে সেদিন মেসি-সুয়ারেজের রসায়নে পিছিয়ে থেকেও ড্র করেছিল মায়ামি। তবে এদিন ন্যাশভিলের ফুটবলাররা করে দেখাতে পারেননি। মেসির দল বিরতিতে যায় ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে। বিরতি থেকে ফেরার ৫ মিনিট পরই মেসিকে তুলে নেন জেরার্দো মার্তিনো। মেসিকে তখন কেন তুলে নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। মেসির বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন টেলর। ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়িয়ে মায়ামিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান তিনিই। ন্যাশভিলের স্যাম সারিডজ গোল করে ব্যবধান কমান ম্যাচের ৯৩ মিনিটে।
প্রথমবারের মতো কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে খেলছে মায়ামি। গত মৌসুমে মেসির কল্যাণেই এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি। মায়ামি লিগস কাপ জেতায় এ মৌসুমে সরাসরি কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলছে। ২৭ দলের এ টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নরা খেলবে ২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপে। শেষ ষোলোয় মনটেরি ও সিনসিনাটির মধ্যকার ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের বিপক্ষে শেষ আটে খেলবে মেসির মায়ামি। ম্যাচটি হবে আগামী ২ এপ্রিল। এর আগে ১৬ মার্চ ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলবে মায়ামি।