
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে শিমুল (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড এর সুজন ডাক্তার বাড়ীর পাশে হাত বাঁধা ও মূখ ডাকা অবস্থায় কড়ই গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিমুল ওই বাড়ির মোতাসিন বাঘার ছেলে।
শিমুলের বাবা মোতাসিন বাঘা বলেন, ভোরে সেহরি খেয়ে শিমুল ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সে আমাদের ঘরের দরজা লাগিয়ে দিতে বলে। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।এর বিচার চাই। শিমুলের ভাই মনছুর বলেন, সকালে স্থানীয়রা গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেন। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, আমি অন্য জায়গায় ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি শিমুলের মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলে আছে। তবে তার হাঁটু ভাঙা পা মাটির সঙ্গে লেগে ছিল। তার দুই হাত ছিল পেছন থেকে বাঁধা। গেঞ্জি দিয়ে মুখ ডাকা। হাত বাঁধা অবস্থায় সে কীভাবে গলায় ফাঁস দিতে পারে? এটি আত্মহত্যা নয়, কেউ তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
শিমুলের ভগ্নিপতি পল্লী চিকিৎসক মো. সুজন বলেন, শিমুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর এক বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ নিয়ে আদালতে একটা মামলাও চলছে। গত ছয় মাস আগে তার সাবেক স্ত্রীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়।
কমলনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, শিমুলের পা মাটিতে লাগানো এবং দুই হাত বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।