
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার স্থানীয় বাজারগুলোতে এমনিতেই সামুদ্রিক ও পুকুরের মাছের সরবরাহ কম। যে স্বল্প পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় সেগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়। মাছগুলো ইউরিয়া সার মিশ্রিত পানি ও ফরমালিন মিশিয়ে বরফ সংযুক্ত ড্রামে সংরক্ষণ করা হয়। পরে স্থানীয় বাজারগুলোতে রাতের বাজারে সন্ধ্যার পর থেকে বাল্বের আলোতে রঙ্গিন পলিথিন ব্যবহার করে এসব মাছ বিক্রি করা হয় চড়া দামে। বাজারগুলোতে প্রশাসনের কোন অভিযান না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতারণার সুযোগ পাচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, বাজার কমিটি চাইলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণা বন্ধ করতে পারেন। তার একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত ধুরুং বাজার পরিচালনা কমিটি। ধুরুং মাছ বাজারে প্রতারণা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা একযোগে মনিটরিং এ নামেন। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজবাহুল আলম সিকদার জানান, মাছের বাজারে ব্যবসায়িরা বাল্ব এর সাথে রঙ্গীন পলিথিন পেঁচিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
এছাড়া প্রতিটা মাছের দোকানের পেছনে ইউরিয়া সার ও ফরমালিন মিশ্রিত পানির ড্রামে মাছ রাখা হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসময় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ হোছাইন, আবুল কালাম আযাদ সহ বাজারের নিরাপত্তাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সচেতন মহল জানান, দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ সামুদ্রিক মাছের ব্যবসার সাথে জড়িত হলেও তারা বেশির ভাগ সময়ই কক্সবাজার-চট্টগ্রামের আড়তদারদের মাছ বিক্রি করেন। জালে মাছ কম ধরা পরলে তা দ্বীপের বিভিন্ন স্বল্প সময়ের বাজারগুলতে বিক্রি করেন। মাছের প্রচুর চাহিদা থাকায় দ্বীপের বাহির থেকে মাছের যোগান দেন অনেক ব্যবসায়ী। সেই সুযোগে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন। বাজার পরিচালনা কমিটির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। প্রতিটি বাজারে এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।