
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নে বীরগাও কান্দা পাড়া গ্রামে ধর্ষক শাকিল মিয়ার বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন এক ধর্ষিতা নারী। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই ধর্ষিতা নারী। কিন্ত ধর্ষক শাকিল মিয়া পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার বীরগাও কান্দা পাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে শাকিল মিয়া(২২) এর সাথে একই গ্রামের কালাম মিয়ার কন্যা (১৯) এর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রেমের সর্ম্পকের এক পর্যায়ে শাকিল মিয়া বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সময় ওই নারীর সাথে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। এ অবস্থায় ধর্ষিতা ওই নারী ধর্ষক শাকিল মিয়াকে বিয়ের চাপ দিলে শাকিল মিয়া বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে ঘটনা প্রমানিত হওয়ায় সালিশে উপস্থিত মাতাব্বরগণ ধর্ষক শাকিল মিয়াকে বিয়ের সিদ্ধান্ত দেয়। গ্রাম্য সালিশে বিয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর থেকেই শাকিল মিয়া নিজ বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। একই কারণে বাড়ীর অন্যান্য লোকজনও পলাতক রয়েছে।
পরে বিষয়টি বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ধর্ষিতা। অভিযোগের একমাত্র আসামী ধর্ষক শাকিল মিয়া। কিন্তু শাকিল মিয়া পলাতক থাকায় পুলিশ ধর্ষক শাকিল মিয়াকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই কোন উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে ধর্ষক শাকিল মিয়ার বাড়ীতে এক সপ্তাহ ধরে অনশন ও অবস্থান করছেন ধর্ষিতা ওই কিশোরী।
এ ব্যাপারে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান জুয়েল জানান ঘটনা সত্য। আমি একাধিকবার বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু ধর্ষক শাকিল মিয়ার পরিবারের লোকজন রাজি না হওয়ায় বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। বকশীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার তারেক মাসুদ জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। ধর্ষক শাকিল মিয়ার সন্ধ্যান পেলেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে।