জামালপুরের বকশীগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত ও বিজয়ী প্রার্থীর সর্মথদের মধ্যে সংঘর্ষে দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মতিন রহমান হামলার শিকার হয়েছেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭ জন।
সোমবার ১১ মার্চ সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর সভা র্নিবাচন অনুষ্ঠিত হয় ৯ মার্চ। পৌর নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কামরুজ্জামান সুজন ও জয়নাল আবেদীন। নির্বাচনে কামরুজ্জামান সুজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর পর থেকেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে উত্তেজনা চলতে থাকে। ১১ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ নামাপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচনে জয় পরাজয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের পরিবার ও সমর্থকদের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আব্দুল করিমের ছেলে লালন(৩০), পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন(৪০), জয়নব বেগম(৬০), মুখলেছুর রহমানের স্ত্রী হেলেনা বেগম(৬০), জয়নাল আবেদীনের ছেলে সৌরভ(১৬) ও কেরামত আলীর ছেলে রোকন (২৩)বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুজ্জামান সুজনের বাড়ীতে হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক ভোরের দর্পণের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি মতিন রহমান। হামলায় আহত সাংবাদিক মতিন রহমান বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাংবাদিক মতিন রহমান জানান, সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য বিজয়ী কাউন্সিলর কামরুজ্জামানের বাড়ীতে যাওয়ার সাথে সাথে কাউন্সিলর কামরুজ্জামানের নির্দেশে তার লোকজন আমার উপর হামলা করে এবং এলোপাথারি মারপিট করে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে সংবাদের আলামত নষ্ট করে মোবাইল ফেরৎ দেয়।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শাহীন আল আমীন জানান, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি সাংবাদিক মতিন রহমানের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও জানান এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল আহাদ খান জানান, ঘটনার বিষয়ে ১১ মার্চ দিবাগত রাতে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।