
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে এবার গণ-ইফতারের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা ‘আহলান সাহলান-মাহে রমজান’, ‘সাওম সালাত ইফতার-মুসলমানদের অধিকার’, ‘ক্যাম্পাসগুলোতে কনসার্ট হলে- ইফতার পার্টিও হতে হবে’, ‘ক্যাম্পাসে কনসার্ট হলে-সমস্যা কি ইফতার হলে’, ‘রমজান ইফতার-অধিকার অধিকার’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রমজানের প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই গণ-ইফতার কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে বেশিরভাগই মুসলমান শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও এমন নিষেধাজ্ঞা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই খেজুরের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, রাবিতে গরুর মাংস নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কুচক্রী মহল যত ষড়যন্ত্র করবে আমরা আরও বেশি বেশি ইফতার করব। যেখানেই মুসলিম কমিউনিটি আছে সেখানেই ইফতার হবে। ক্যাম্পাসে ইফতার হবে, রোজা হবে, শিক্ষার্থীরা কুরআন তিলাওয়াত করবে, কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে আমরা এটা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এর আগে, সোমবার শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি প্রশাসন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়ে নোটিশ জারি করে। এতে দেশব্যাপী শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের এমন অন্যায় হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানান।