ইবি কারাতে ক্লাবের সভাপতি তানজিনা, সম্পাদক অর্প

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘রুখে দাঁড়াতে শেখো’ স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ১ বছরের জন্য ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কারাতে ক্লাব’-এর পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি হিসেবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হাসিন ‘ইন্তেসাফ অর্পকে মনোনীত করা হয়েছে।  

সংগঠনটির উপদেষ্টা আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল,অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল ও গনিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুর রহমান এ কমিটির অনুমোদন দেয়। কমিটির অন্যরা হলেন সহ-সভাপতি শামসুন নাহার শাম্মী, জাহীন খান, সাদিয়া সুলতানা, জাকিয়া বুলবুল জবা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, আব্দুর রউফ আকাশ, রিয়াজুল হাসান রবিন। সাংগঠনিক সম্পাদক কুররাতুল আইন উর্মী, আরিফা ইসলাম, যুথী খাতুন।

অর্থ সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম মৌ, উপ-অর্থ সম্পাদক ইরফান উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক আখি খাতুন, উপ দপ্তর সম্পাদক মিথিলা ইসলাম মায়া, প্রচার সম্পাদক মোছা. রুবায়েত হাসিন , উপ প্রচার সম্পাদক ইফফাত জেরিন কেয়া, কর্মশালা সম্পাদক ফাতেহা রহমান মিন্নি, উপ-কর্মশালা সম্পাদক আনিকা তাবাসসুম এষা, সাহিত্য সম্পাদক ঐশী জামান মুসকু, প্রকাশনা সম্পাদক মায়িশা মালিহা চৌধুরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোছা. স্বর্ণা আক্তার, ক্রীড়া সম্পাদক সিদরাতুল মুনতাহা সাদিয়া, আইটি সম্পাদক লাবিবাহ, কার্যনিবার্হী সদস্য শারমিন আক্তার, সিরাজুম মনিরা রাফা, জাকিয়া ফেরদৌস।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা বলেন, ‘প্রতিনিয়তই আমাদের আশেপাশে অসংখ্য ছেলেমেয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেউ মানসিকভাবে কেউবা শারীরিকভাবে। যার প্রভাবে অনেক শিক্ষার্থীর ছাত্র জীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ। দুর্বলের উপর অত্যাচার করার রীতি অনেক আগে থেকেই আমাদের সমাজে প্রচলিত ছিল। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় না, চলাফেরার খাতিরে আমাদের অনেক জায়গায় যেতে হয় অনেক মানুষের সাথে মিশতে হয়। যাদের অনেকেই আমাদের জন্য বিপদ হয়ে উঠে। তাদের দ্বারা আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামাজিক অবক্ষয় বা অন্যায় কার্যক্রম কে রুখে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই পথ চলা।’

তিনি আরো বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মানসিকভাবেও তাদের কে শক্তিশালী করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জড়তা দূরীকরণ মাধ্যমে তাদের আত্নবিশ্বাসী করা, অর্থাৎ সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সকলের বসবাস উপযোগী সুন্দর একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য নিয়েই মূলত আমাদের এই ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা।’

শেয়ার করুন:

Recommended For You