লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়েকৃত দুই মামলায় কারাগারে গেলেন বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া। রোববার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ দিকে লক্ষ্মীপুর আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে সিনিয়র দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম তার জামিন না মঞ্জুর করেন। এ সময় জামিন না মঞ্জুর করায় আদালতে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। খায়ের ভূইয়ার পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন এ্যাড. সৈয়দ শামছুল আলম, হাসিবুর রহমান,মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, মো:আনোয়ার হোসেন মৃধা প্রমুখ।
গত বছরের জুলাইয়ের সদর থানার মামলা নং জিআর ২৮৯/২৩,২৯০/২৩ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। গত বছরের ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ৩টার দিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের গোডাউন রোডের বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বাসভবনের সামনে থেকে পদযাত্রা বের করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঝুমুর স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
এতে নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ অন্তত ৫০ নেত–কর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দুই শতাধিক নেতা–কর্মী। পদযাত্রা চলাকালীন সামাদ এলাকায় কৃষক দল কর্মী সজীব হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরদিন সদর থানায় পৃথক পৃথকভাবে চারটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি মামলা দায়ের করে। এই চারটি মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়া, সাহাবুদ্দিন সাবু, অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমানসহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়। আবুল খায়ের ভূঁইয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। তার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরাও আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ করে। তাকে কারাগারে নিয়ে যাবার সময় মিছিল করে দলীয় নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড.হাসিবুর রহমান বলেন ,যেই মামলায় সবাই জামিন পেয়েছে ,সেই মামলায় সাবেক এতকাধিকবারের এমপিকে জামিন মঞ্জুর না করে আদালত জেলে প্রেরণ করে তারা বুজিয়েছে ন্যায় বিচার হাসিনার আমলে এখন নির্দেশনা। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো এবং জামিন পাবে এটি প্রত্যাশা করছি।