ফেনীতে প্রেমিকের বড় বোনের বাসা থেকে প্রেমিকা ফাতেমা আক্তার আঁখির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ সাফায়েত এ আদেশ দেন।
শুক্রবার (০৮ মার্চ) বাদিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এমদাদ হোসেইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত আঁখির বড় বোন শিল্পী আক্তার বাদি হয়ে মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের চোছনা এলাকার মো: মিয়াধনের ছেলে সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছোট ভাই আদনান বাপ্পী, বোন নাদিয়া বেগম ও ভগ্নিপতি বেলাল হোসেনকে আসামী করা হয়। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তভার প্রদান করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিভিন্ন সময় পাখির পক্ষ থেকে বিয়ের কথা বলা হলেও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে সালাউদ্দিন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পাখিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় সালাউদ্দিন। তাছাড়া শুরু থেকেই সালাউদ্দিনের ভাই বাপ্পি ও বোন নাদিয়া সবসময় পাখির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছিলেন। কারণ তারা এ সম্পর্ক কখনও মেনে নিতে পারেনি। এজন্য কৌশলে পাখিকে ওই বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের গেলে পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেননি।ফলে বাধ্য হয়ে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
তবে,ফেনী মডেল থানার ওসি মো শহিদুল ইসলাম চৌধুরী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগীতায় একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ঘটনার প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ ও নিহত আঁখির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার পরিবারের লোকজনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এব্যাপারে নিহতের স্বজনদের কেউ মামলা নিয়ে থানায় আসেননি।
প্রসঙ্গত; গত ৩ মার্চ (রবিবার) শহরের সালাহউদ্দিন মোড় এলাকার মেডিল্যাব হাসপাতাল সংলগ্ন এডভোকেট ওয়ালী আহম্মদের ভাড়া বাসায় সালাউদ্দিনের বাসা থেকে ফাতেমার আক্তার আঁখির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আঁখি শর্শদী ইউনিয়নের সফিয়াবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ও ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে অনার্সের ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।