শ্রীমঙ্গলে বালু উত্তোলন ; বাদ পড়েনি লেবু বাগানও

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউপির দূর্গানগর গ্রামের সরকারী খাল ঘেঁষে যাওয়া লেবু বাগানের ভেতর কৌশলে বিগত ৬ মাস যাবত অবাধে চলছে সেলু মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলনের মহোৎসব। যার ফলে আশপাশের বাড়ি ঘর, রাস্তা ঘাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তারমধ্যে চলাচলের রাস্তা দিয়ে যানবাহনের ধুলোর ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ঐ এলাকার বাড়িঘরে ও বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ভয়ে মুখ খুলতে ও ভয় পায়।
অনুসন্ধানে সরেজমিন গিয়ে নাম পরিচয় না বলা শর্তে স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের জালালিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা হারুনুর রশিদ নামক এক ব্যক্তি হতে বাগান লিজ নিয়েছেন আলকাছ মিয়া এই মর্মে হারুন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তা নিশ্চিত করেন। লেবু বাগানের আড়ালে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুরের বাসিন্দা আলকাছ মিয়া নামে ঐ ব্যক্তি অবৈধ ভাবে ইজারা বিহীন কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে অবাধে সরকারি ছড়া ধ্বংস করে সেলোমেসিনে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ও ধ্বংস করা পরিবেশ ফাঁকি দিচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব। এ বিষয়ে বাগান মালিক হারুন মিয়াও বালু উত্তোলনের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
লিজ নেয়ার পর থেকে বালু উত্তোলনের কর্মকাণ্ড করছেন বলেও তিনি বলেন। তথ্য অনুযায়ী লিজ নেয়া ব্যক্তি আলকাছ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি লিজ নিয়েছি হারুন মিয়ার কাছে থেকে, এখানে বালু উত্তোলনের জন্য আবার কিসের অনুমতি! আমি বাহিরে আছি, আপনার কোন প্রয়োজন হলে জলিল মিয়া নামক এক ব্যক্তির নাম বলে বলেন ওনার সাথে যোগাযোগ করার কথা পরিস্কার জানিয়ে ফোনটি কেটে দেন। তিনি আরও বলেন, জলিল মিয়া সব কিছু বিস্তারিত বলবে জানতে চাইলে।
এ বিষয়ে শুক্রবার (৮ মার্চ) শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আবু তালেব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত অনেকবার মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে। গত দু’দিন আগেও স্পটে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে মেশিন ও পাইপ নষ্ট করা হয়েছে। এখন এ বিষয়েও জানতে পারলাম যখন আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
শেয়ার করুন:

Recommended For You