
এলপিজি সিলিন্ডার বাজার থেকে কিনে আনা ও ব্যবহার উপযোগী করা পর্যন্ত সব কিছুই করছে নন-টেকনিক্যাল লোকজন। যার কারণে দূর্ঘটনা বেশী হচ্ছে। সিলিন্ডার ব্যবহার বাড়লেও ব্যক্তি সচেতনতা বাড়েনি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এলপিজি ইন্ড্রাস্ট্রি: কমপ্লায়েন্স সেফটি এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে, সারা দেশে এখন এলপিজি’র ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু যারা এই সিলিন্ডার ইন্সটলের কাজ করেন তাদের যদি দক্ষতা না থাকে, তাদের অল্প টাকা দিয়ে যদি ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করানো হয়, তাহলে তো ভালো হবে না।
তিনি বলেন, যেভাবে ব্যবহার বেড়েছে, সেভাবে কিন্তু সচেতনতা বাড়েনি। আমি বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ভ্রমণ করেছি। দেশে থেকে যে ছেলেরা যাচ্ছে, তারা দক্ষভাবে কাজ করছে। এজন্য আমাদের দেশের যারা টেকনিশিয়ান আছে তাদের ট্রেইনিং প্রয়োজন। এটা আমাদের দেশের বাজারের জন্যও প্রয়োজন আছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত যদি প্রশিক্ষণ থাকে তাহলে ফিটিংসহ যে কাজ গুলো আছে সেগুলো করার ক্ষেত্রে ভুল হবে না। আমাদের বিশাল যুব শক্তি সিলিন্ডার ব্যবহারে হোটেল মালিক, কর্মচারীদের আপনারা প্রশিক্ষণ দিতে পারেন, যাতে নিরাপদ ভাবে এগুলো ব্যবহার করতে পারে।
জেএমআই ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল গ্যাস লিমিটেডের সেফটি এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী বলেন, দেশে ১৫-২০ লাখ মেট্রিকটন এলপিজি আসছে। কিন্তু এটিই ঠিকমতো আমরা ম্যানেজ করতে পারছি না। কারণ এটা পুরোপুরি একটি টেকনিক্যাল পণ্য। কিন্তু কিন্তু হ্যান্ডেল করছে নন-টেকনিক্যাল লোকজন। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারদের সদর দরজা দিয়ে নেয়, আর প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে পিছনের দরজা দিয়ে বের করে দেয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইইবি’র প্রেসিডেন্ট মো. আবদুস সবুর এমপি, কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান এ এন এম তারিক আবদুল্লাহ, কেমিক্যাল বিভাগের সম্পাদক মো. ওবায়দুল্লাহ (নয়ন) প্রমুখ।