চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, তারেক রহমান বিএনপিকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালি করেছেন। তিনি লন্ডনে বসে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা, নতুন দর্শন ও রোড ম্যাপ দিয়েছেন। তিনি দেশে না থেকেও দেশের মাটি ও মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন।
তার জনপ্রিয়তায় ঈষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেফতারের পর কারাগারে নিষ্ঠুর নির্যাতনের মধ্যে একটানা ১৮ মাস কারাবাস করতে হয়েছে তাকে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার। দেশে বর্তমানে যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে আছেন তারেক রহমান তাদের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাড়িয়েছেন। কারণ দেশে না থেকেও তিনি বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে দালিলিক প্রমানসহ আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচন করছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
সভার আগে বাদে আসর দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা তারেক রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করেন কিন্তু কোন উত্তর দিতে পারেন না। কারণ তিনি দালিলিকভাবে সত্য বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি সরকারের নিপীড়ন, নির্যাতন, গুম খুন ও ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে কাজ করছেন। তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরতে না পারে সেজন্য সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে তারেক রহমান একদিন দেশে ফিরবেই।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মঈন উদ্দিন ফকরুদ্দিনের সরকারের সময় দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিণত হন তারেক রহমান। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হিংসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন চালিয়ে তারেক রহমানের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হয়েছিল। গ্রেফতারের পর রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে টাক্সফোর্স, এনবিআর, দুদকসহ সরকারের সব সংস্থাই দেশে বিদেশে তন্ন তন্ন অনুসন্ধান করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। জনগণের ভালোবাসায় তারেক রহমান অচিরেই বীরের বেশে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, মো. কামরুল ইসলাম, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর বিএনপি নেতা হাজী নুরুল আকতার, মো. আলী, মুজিবুল হক, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কাওসার হোসেন বাবু, মহানগর বিএনপি নেতা একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙ্গালি, আরিফ মেহেদী, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, হাজী মো. ইলিয়াছ, আলাউদ্দিন আলী নুর, কাজী শামসুল আলম, জমির আহমদ, মো. সেকান্দর, জানে আলম জিকু, মো. ইলিয়াছ, হুমায়ুন কবির সোহেল, মো. হারুন, খাজা আলাউদ্দিন, আজম উদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মনজুর কাদের প্রমুখ।