
সাতক্ষীরা পৌর শহরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাওবান আব্দুল্লাহ (৩)নামের এক শিশুকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।এতে শিশুটির পিতাও শেখ নুরুজ্জামান গুরুতর জখম হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৫ মার্চ)সকালে সাতক্ষীরা পৌর শহরের কুখরালী বলফিল্ড এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।রাতে শিশু সাওবান আব্দুল্লাহকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শিশুটির পরিবার। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার কুখরালী বলফিল্ড মসজিদের পার্শ্বে শেখ মোহাম্মাদ হোসেনের ছেলে শেখ মাতলুব হোসেন লিওন ও শেখ মাসুদ হোসেন মিনুর সাথে প্রতিবেশি মৃত শেখ নুরুজ্জামানের ছেলে শেখ মনিরুজ্জামানের পৈতৃক ভিটাবাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিশু সাওবান আব্দুল্লাহ কে নিয়ে শেখ নুরুজ্জামান নিজ বাড়ি হতে রাস্তার উপরে আসলে বিবাদীগণ জমি ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিবাদীদ্বয় হাতে লোহার রড নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক শেখ নুরুজ্জামানসহ তাঁর পুত্রকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে গুরুতর রক্তাক্ত হয় শেখ নুরুজ্জামান ও তাঁর পুত্র ।
সূত্রটি আরও জানায়, শেখ মাতলুব হোসেন লিওন লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শেখ নুরুজ্জামানের মাথায় আঘাত করে এবং হাতে ও বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারপিট করে। শেখ মাসুদ হোসেন মিনু হত্যার উদ্দেশ্যে শেখ নুরুজ্জামানের শিশু পুত্রকে লোহার রড দিয়ে মুখের ডান পাশে আঘাত করে গুরুতর থেতলানো ফাটা রক্তাক্ত জখম করে। শেখ নুরুজ্জামানের ডাকচিৎকারে বিবাদীরা ভয়ভীতি ও ক্ষয়ক্ষতি করবে মর্মে প্রাণনাশ করার হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
প্রকাশ থাকে যে, উক্ত জমি জায়গা নিয়ে শালিশে আপোষ মিমাংশা হয়ে শেখ নুরুজ্জামান ভোগ দখলে থাকার পরেও তারা গণ্যমান্য কারো কথা মান্য না করে শেখ নুরুজ্জামানের ভিটাবাড়ির জমি জবর দখল করার জন্য পায়তারা করছে।বর্তমানে তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান।
এরআগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে দেশের অস্ত্র ধারাল দা, কোদাল, কুড়াল, নিয়ে আমাদের ভিটাবাড়ি জবর দখল করার উদ্দেশ্যে জমির মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রকার গাছগাছালি কেটে নেয়। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই সাইদুজ্জামানকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ মো. মহিদুল ইসলাম।