
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে মন্ত্রীরা গরিব মানুষ নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বক্তব্য গরিব ও মেহনতি মানুষের সাথে চরম তামাশার শামিল। তিনি বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্য ইফতার খেজুর দিয়ে শুরু করা। সুন্নত নিয়ে এধরনের মন্তব্য শিল্পমন্ত্রীর ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক।
মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, এর আগেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কাচা মরিচের দাম বেশি হলে শুকিয়ে রেখে পরে তা পানিতে ভিজিয়ে খেতে, বেগুনের দাম বেশি হলে মিষ্টি কোমড়া বা পেপে দিয়ে বেগুনি বানিয়ে খেতে, ডিমের দাম বৃদ্ধি প্রসঙে বলেছেন, ডিমের দাম কমলে কিনে ফ্রিজে রেখে দিতে। এভাবে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকজন গরিব ও অসহায় মানুষ নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে চরম ঘৃণিত কাজ করছেন। নিত্যপণ্যের দামে মানুষ অতিষ্ঠ। মানুষের সঙ্গে ঠাট্টামশকরা করে যাচ্ছে সরকার।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা ও অসৎ রাজনীতিক এই তিন চক্র সিন্ডিকেট মিলে দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। এই দানবদের রুখতে না পারলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না। আর নিত্যপণ্যের দাম কমবে না। তেল, নুন, পেঁয়াজ, চিনি, আদা-রসুন, মরিচ যেটাতেই হাত দেয়, হাত পুড়ে যাচ্ছে। সকালে এক দাম, বিকেলে আরেক দাম। এটা তো অর্থনীতি না। এই গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবনে স্বস্তি আসেনি।
তিনি বলেন, ডামি নির্বাচন দিয়ে ডামি সরকারের মন্ত্রী পরিষদ যে ভাষায় কথা বলছেন, তাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রী নূরানি ও কওমী মাদরাসা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অথচ কারিকুলামের অসঙ্গতি নিয়ে তাদের কোন কথা নেই। তিনি বলেন, কারিকুলামের অসঙ্গতি দূর করতে ব্যর্থ হয়ে এখন নূরানি ও কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না। সরকারের দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডামি সরকারের দুর্নীতি দায় জনগণের উপর চাপাতেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। মূল্যবৃদ্ধির মরণ খেলা থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় মেহনতি মানুষের রুদ্ররোষে সরকারের করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে।