কক্সবাজার ফিসারিঘাটে ২৪ কেজি ওজনের একটি একটি কালো পোয়া মাছ কয়েক দফায় মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) মাছটির বিক্রেতা মো. হারুন জানান, গতকাল রোববার রাতে মাছটি কক্সবাজার ফিসারিঘাটে আসে।
তখন মাছটি থেকে বায়ুথলি (স্থানীয় ভাষায় ফদনা) সংগ্রহ করে তা প্রায় ২ লাখ ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৪’শ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৬০০ টাকায় তিনি মাছটি কেনেন। আজকে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৫’শ টাকা কেজি দরে বায়ুথলি ছাড়া ৩৬ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন। এই মাছ ব্যবসায়ী আরো জানান, কালো পোয়া মাছের বায়ুথলি অপারেশনের সুতা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তাই এই মাছের দাম এত বেশি।
এদিকে, কয়েক দিন ধরে মাছের সরবরাহ আবারো বাড়তে শুরু করেছে। অন্যান্য মাছের চেয়ে এদিন ইলিশও পাঙাস মাছের সরবরাহ বেশ ভালই ছিল। পাইকারি ক্রেতারা কত দামে ইলিশ কেনেন সেটা অনেকেই প্রকাশ করতে চান না। তবে কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, ছোট আকারের ইলিশ ৫০০ টাকা কেজি দরে এবং বড় আকারের ইলিশ ১২’শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় ট্রলারগুলো থেকে যেসব ব্যবসায়ী ছোট ট্রলারে করে মাছ কিনে আনেন তারাও জানান, বর্তমানে ছোট আকারের ১ মণ ইলিশ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং বড় আকারের ১ মণ ইলিশ ১ লাখ টাকায় কেনা বেচা হচ্ছে।
ইলিশ ছাড়াও রূপচাঁদা, ভেটকি, চিংড়ি, পোমা, সুরমা, বাইম, কই কোরালহ নানা প্রজাতির মামুদ্রিক মাছ দেখা গেছে ফিসারি ঘাটে। এদিন ছোট আকারের লবস্টার ১ হাজার টাকা ও বড় আকারের লবস্টার ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দাম হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। অক্টোপাস ৪০০ টাকা, স্কুইড আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টুনা বা সুরমা মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, গুইজ্জা মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ কোরাল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, লাল কোরাল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মামুদ্রিক পাঙাস মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ছাড়াও কক্সবাজার ফিসারিঘাটে খুচরাভাবেও মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।