সুন্দর দাঁত দেখতে কার-ই না ভাল লাগে বলুন। আমাদের সবারই একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে দাঁত দেখতে যেন সুন্দর হয়। কিন্তু অনেক সময় যত্নের অভাবে অথবা নানা কারণে দাঁতে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। অনেকে বাজার থেকে দাঁতের দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন উপকরণ কিনে এনে ব্যবহার শুরু করে দেন। কিন্তু এটি আপনার দাঁতের ক্ষতি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই কারণে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে দাঁতের দাগ দূর করবেন-
টুথপেস্টের সঙ্গে বেকিং সোডা ব্যবহার
প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার ক্ষেত্রে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন নিশ্চয়ই? এক্ষেত্রে পেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য বেকিং সোডা। কারণ কেবল খাবার তৈরিতেই নয়, দাঁত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও বেকিং সোডা দারুণ কার্যকরী। নিয়মিত এভাবে দাঁত মাজলে দাঁত চকচকে হতে সময় লাগবে না। সেইসঙ্গে দূর হবে দাঁতের দাগও। প্রতিদিন দুইবার এভাবে দাঁত মাজলে উপকার পাবেন দ্রুতই।
আলু
বাড়িতে আলু থাকে সবারই। প্রতিদিনের রান্নায় কোনো না কোনো পদ আলু দিয়ে তৈরি করেন অনেকেই। এটি যেমন পুষ্টিকর সবজি, তেমনই উপকারীও। এখানেই শেষ নয়, আলু কিন্তু আরও অনেক কাজে লাগে। বিশেষ করে রূপচর্চার কাজে এটি বেশ ভূমিকা রাখে। আবার দাঁতের দাগ দূর করে দাঁত ঝকঝকে করতেও কাজে লাগে এটি। আলুতে থাকে প্রাকৃতিক ব্লিচিং, যা এই কাজে সাহায্য করে।
লবণ ও তেল
লবণ কেবল খাবারের স্বাদই ঠিক রাখে না, এটি আরও অনেক কাজে লাগে। গলা ব্যথা হলে লবণ-পানির গার্গল করেন নিশ্চয়ই? আর লবণ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাসও বেশ পুরনো। কারণ লবণে থাকা অনেক উপকারী উপাদান দাঁত ভালো রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে বেশ ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। এর সঙ্গে সামান্য সরিষার তেল মিশিয়ে নিলে আরও বেশি উপকার পাবেন। তাই সমপরিমাণ সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন। এতে দাঁতের দাগ দূর হবে অচিরেই।
লেবু আর বেকিং সোডা
দাঁতের যত্নে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হতে পারে লেবু আর বেকিং সোডা। সেজন্য সমপরিমাণ লেবুর রস ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে দাঁতের দাগ তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে দাঁত হবে আরও বেশি ঝকঝকে। তাছাড়া ভালো থাকবে দাঁতের স্বাস্থ্যও। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।