দুদকের দায়ের করা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জামিন চেয়েছেন।
রোববার (৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ জামিন আবেদন করেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আক্কাস আলী। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করার আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা কর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর এনবিআরের কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে তিন শ থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মতো ছিল। ফলে এনবিআর অর্থ চেয়ে নোটিশ করে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এরপর এনবিআরেরব বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে আদেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়েরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।