কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের গাছবাজার থেকে চানমারি এলাকা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন পর সংস্কার হওয়াতে যাতায়াতের আমূল পরিবর্তন সাধন হয়েছে। দুর্ভোগ কমেছে স্থানীয় এলাকাবাসীর। দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছিল। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল মহিনন্দ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের। রাস্তাটি পৌরসভার শেষ সীমানা হওয়ায় পৌর এলাকার ও মহিনন্দ ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতো। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের।
বড় লড়ি ও মাটিবহনকারী ট্রাক এ সড়ক দিয়ে চলাচল করায় অন্যান্য যানবাহন একেবারেই চলাচল করতে পারতো না। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় থাকা রাস্তাটি এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে জিওবি প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ১৫ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে সড়ক টি নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি।জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয় গত ডিসেম্বরে।কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে এ বছরের জুনে। কিন্তু কাজ শেষ হবার মেয়াদের পূর্বেই এ মাসের ১০ তারিখ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার ইফতেখার উদ্দিন শাহিন।
নির্ধারিত সময়ের অনেক পূর্বেই সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গাছবাজার থেকে চানমারি হয়ে কিশোরগঞ্জ টু নীলগঞ্জ সড়কে যুক্ত হয়েছে এ সড়কটি।এখন চলছে সড়কে কার্পেটিং এর কাজ।চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ও সড়ক নির্মাণ কাজ ভাল হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।এ বিষয়ে স্থানীয় বাসীন্দা জুয়েল মিয়া বলেন,এ সড়কটি বেহাল অবস্থায় ছিলো দীর্ঘদিন।সড়কটি সংস্কার হওয়ায় এখন আমরা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছি। এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এলজিইডি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
স্থানীয় বাসীন্দা মেহেদি হাসান সাজ্জাদ বলেন,সড়কটি আগে খুবই বাজে অবস্থা ছিলো।এ রাস্তা দিয়ে কোন রিকশা আসতে চাইতো না।সংস্কার হওয়ায় এখন আমরা ভালভাবে চলাচল করতে পারছি। স্থানীয় বাসীন্দা ডা:সালাহউদ্দিন মিঠু বলেন,আগে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো।আমরা চলাফেরা করতে পারতাম না।রাস্তাটি সংস্কার হওয়ায় এখন আমরা ভালভাবে চলাফেরা করতে পারছি।আমাদের যোগাযোগের আমূল পরিবর্তন হয়েছে।এজন্য এলজিইডি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই।
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আমিরুল ইসলাম জানান,এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে।যাতে এ এলাকার মানুষ স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে।নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ সম্পন্ন হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।