
কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পানি শোধনাগার প্রকল্পের ৩৬ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভায় আসেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম। তিনি পৌর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন রেকর্ড পত্র সংগ্রহ করেন।
এরপর দুদকের কর্মকর্তা যান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে। জানা গেছে, সেখান থেকেও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করবেন তারা। এছাড়াও দুদকের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ে সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার নেয়ার কথাও রয়েছে কর্মকর্তাদের। ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কক্সবাজার পৌরসভার পানি শোধনাগার প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে এ নিয়ে দুই দফায় তদন্ত করছে দুদক।
এর আগে প্রতিবেদনে উঠে আসে, মেয়র মুজিব পানি শোধনাগারের বাছাই করা জমি বাদ দিয়ে বাঁকখালী নদীর দক্ষিণ পাড়ে ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা দামের জমি বাছাই করেন। এর বেশিরভাগই ছিল সরকারি রিসিভারে থাকা জমি। কিন্তু মেয়র কৌশলে জমি অধিগ্রহণের আগে রিসিভার করা জমির ১ দশমিক ৭২ একর তার স্ত্রী ও শ্যালকের নামে ব্যক্তিগত জমিতে রূপান্তর করেন। এ কাজে মেয়রকে সহায়তা করেন কক্সবাজার সদরের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মোক্তার, দুজন সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।