
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সততা ফোয়ারা ও বিভিন্ন অনুষদের নিচের পানির প্ল্যাট পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ ঘটিকার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বিভিন্ন লেখা সম্মিলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনি আমিন ও মামুনুর রশিদকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এসময় দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের জানায়, দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগী, নাসির মিয়া ও মোসাঃ তানিয়া আফরোজ।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে দেখা করার কথা জানানো হয়। তবে সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে বাহিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য কার্যালয়ে আসলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলকে দাবি নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে আসতে বলা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে অপেক্ষা করবে জানিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেসময় তাঁদেরকে বাঁধা দেওয়া হয়। বাঁধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের কার্যালয় ত্যাগ করেন
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই দীর্ঘদিন ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ফোয়ারা ও পানির প্ল্যাটগুলো। বরাবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার ফলে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আগের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইবির সৌন্দর্যবর্ধক সততা ফোয়ারা ও সকলের জন্য বিশুদ্ধ সুপেয় ব্যবস্থা করতে পানির প্ল্যাটগুলো স্থাপন করেছিল। তবে বর্তমান প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার ফলে শিক্ষার্থীরা সহ সকলে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সততা ফোয়ারাটিও অযত্ন অবহেলায় আছে। আমরা অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সততা ফোয়ারা ও বিভিন্ন অনুষদের নিচের পানির প্ল্যাট পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি।