বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২ দিনব্যাপী ইকেবানা ও অরিগামি কর্মশালা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান আর্ট মার্কেটের অংশ হিসেবে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ১০ জন করে ২০ জন অংশগ্রহণকারীকে এ কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
জাপানিজ শিল্পকলা ইকেবানা হলো ফুল, পাতা, শাখা প্রশাখার শৈল্পিক সমন্বয় পদ্ধতি, যা ফুলের বিন্যাসের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়। শিল্পকলা হিসেবে এটি শুধু সজ্জায়নের জন্যই নয়, এর দার্শনিক ভাবধারাও রয়েছে। মুলত জীবন্ত ফুল দিয়েই এই শিল্পকর্মটি তৈরী করা হয়। অন্যদিকে অরিগামি হলো কাগজের ভাঁজের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট জিনিসের আকৃতি দেয়া। এটিও মুলত জাপানি ঐতিহ্য। অরি মানে ভাঁজ আর গামি অর্থ কাগজ। অরিগামির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ধরন হলো অ্যাকশন অরিগামি, মডিউলার অরিগামি, ওয়েট ফোল্ডিং ও অনান্য। সাধারণত কোন কিছুর সাহায্য ছাড়াই কাগজে নানা আকৃতি বা অবয়ব তৈরী করা হয়।
২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ দুদিনব্যাপী ইকেবানা ও অরিগামি কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন ‘জাপানি ঐতিহ্য হলেও ইকেবানা ও অরিগামি শিল্পকলা হিসেবে বাংলাদেশেও ভীষণ জনপ্রিয়। ফুল ও কাগজের তৈরী এ ধরনের শৈল্পিক পরিবেশনা আমাদের প্রত্যেকের ঘরেও কমবেশি দেখা যায়। সেটাকেই আরো কিভাবে নান্দনিক ও সুন্দর করা যায় সেই প্রচেষ্ঠাতেই আমাদের এই আয়োজন।’ পরে সহযোগিতার জন্য জাপান দূতাবাসকে কৃতজ্ঞতা জানান মহাপরিচালক।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইকেবানা কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইকেবানা এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিনূর বেরী। বিকাল ৫.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টা পর্যন্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত ৭.০০টা থেকে ৯.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় অরিগামি কর্মশালা। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কাজী বুশরা আহমেদ।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রাত ৭.০০টা থেকে ৯.০০ টা পর্যন্ত ২য় দিনেও অনুষ্ঠিত হয় অরিগামি কর্মশালা। পুরো আয়োজনে সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের ইন্সট্রাক্টর মাহিম সিনথিয়া।